শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী যাত্রা দল সোখিন নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় এই বিখ্যাত যাত্রাপালা ‘বেহুলা লখিন্দর’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফোর্সকে উদ্বুদ্ধ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বেহুলা লখিন্দর’ যাত্রাপালাটি অনেকের কাছে নতুন মনে হবে, বিশেষ করে এ প্রজন্মের কাছে। আমরা যদি বাংলা সংস্কৃতিতে ফিরে তাকাই তাহলে দেখব বাংলাদেশে যাত্রাশিল্প, কবিগান, পালাগানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের সংস্কৃতির রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। ইদানিং মোবাইল ফোনের প্রভাবে আমাদের নতুন প্রজন্ম এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনেকটাই ভুলতে বসেছে। আমি মনে করি, প্রত্যেকটা জাতির নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব ঐতিহ্য ও নিজস্ব সংস্কৃতি লালন করা উচিত। আমি এটিও মনে করি যে, এক্ষেত্রে অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে বাংলাদেশ পুলিশ এগিয়ে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। কিন্তু সেখানে হাল জামানার গান পরিবেশন করা হয়। এর পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির চর্চাও করা উচিত। আজ আপনারা যে যাত্রাপালাটি দেখবেন, সেটি ১৩ শতক থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত সময়ের কাহিনী নিয়ে রচিত বিখ্যাত যাত্রাপালা হিসেবে পরিচিত ছিল। এখনো গ্রামে কোথাও কোথাও এই যাত্রাপালাটি মঞ্চায়িত হয়ে থাকে। বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন দিকটি এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি একটি বিখ্যাত যাত্রাপালা । আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) আয়োজনে যাত্রাপালাটি মঞ্চায়িত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিওএম এর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য