সব
আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও টক-শোতে বলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের পার্টির কোন সমাবেশ ও সম্মেলনে যোগ দেননি। আসলে হীন স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি সফল কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন নির্বাচিত হন জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। ঐ বছর ৫মে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় গোলাম মোাম্মদ কাদের-কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৪ জুলাই পল্লীবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত ও একটি জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেন তিনি।
২০২০ ও ২১ সালে মহামারি করোনার কারনে যখন স্বাভাবিক জীবন অনিশ্চিত ছিলো, তখনো জনবন্ধু জিএম কাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছেন। রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এসময় দুইবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। কিন্তু করোনাকালেও তাঁর কর্মকান্ড থেমে থাকেনি।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তিনি সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করেন। সম্মেলন ও সমাবেশ করেছেন রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, পটুয়াখালী, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কক্সবাজার, খুলনা এবং ঢাকা জেলায়। এছাড়া রাজধানীতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় পার্টি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। দ্বাদশ নির্বাচনকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি আসনে নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে পথসভা ও জনসভায় লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। গেলো বছরগুলোতে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টি কেন্ত্রীয় কার্যালয় চত্বরে একাধিক সমাবেশ করেছে জাতীয় পার্টি।
আমরা মনে করছি, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিভ্রান্ত্রি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। এমন বাস্তবতায়, সবাইকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মন্তব্য