সব
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে দিন দুপুরে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হোমিও চিকিৎসককে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে খুন করেছে।
গতকাল ১৫ই জানুয়ারি সোমবার বেলা ১:০০ টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার গয়েশপুর বাজার এলাকায় এ খুনের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তি পেশায় একজন হোমিও চিকিৎসক। তার নাম হারুন অর রশিদ। তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরোজা হোমিও হলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে রুবেল (৩৫) নামে এক দুর্বৃত্ত।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ঘাতক রুবেলের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নিহত হোমিও চিকিৎসক হারুন আর রশিদ।
গয়েশপুর বাজারে দীর্ঘদিন যাবৎ হোমিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল। স্বপরিবারে গয়েশপুর বাজারে নিজ বাসায় বসবাস করতো হারুন। ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে বলে জানা যায়।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ খায়রুল বাশার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। খুনের রহস্যের অনুসন্ধান কালে উত্তেজিত জনতাকে বলতে শোনা যায় পাইথল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব ঢালীর পরকীয়া প্রেমের বলি হয়েছে হোমিও ডাক্তার হারুন। নিহত হারুনের স্ত্রীর সাথে চেয়ারম্যান আফতাব ঢালীর পরকীয়া প্রেমের সুবাদে ঐ নারীকে দীর্ঘদিন তাঁর রক্ষিতা করে অন্যত্র বসবাস করে। হারুন অনেক চেষ্টা করে কয়েক মাস হলো তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরই পালিত সন্ত্রাসী ক্যাডার রুবেলকে দিয়ে শায়েস্তা করতেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
গণপিটুনিতে রুবেল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকায় এখনো প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি বলে পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে নিহত হারুনের খুনি রুবেল পুলিশ হেফাজতে আছে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিছুটা সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মন্তব্য