সব
সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামে বিগত ২০১৫ সালে ঈদ-উল-আযহার পরবর্তী সময়ে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী মো. ইসমাইল হোসেন (৪০) স্ত্রী বিলকিছ আক্তার (৩০) ও শাশুড়ি খালেদা বেগম (৫০) কে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ আদালতে জামাই মো. ইসমাইল হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেছে শেরপুরের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত ও মামলায় সংক্ষিপ্ত বিতরণের জানা গেছে, আসামী মো. ইসমাইল হোসেন বিগত ২০১৫ সালে ঈদ-উল-আযহার সময় ঈদ উদযাপন করার জন্য তার স্ত্রী বিলকিছ আক্তারের বড় ভাই আঃ খালেকের বাড়ী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামে যায়। এদিকে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামী ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী বিলকিছ আক্তারকে রান্না ঘরের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় রান্না ঘরে থাকা দা দিয়ে স্ত্রী বিলকিছ আক্তারকে উপর্যপরি ও এলোপাথারী কোপাতে থাকলে তার আত্মচিৎকারে শাশুড়ি খালেদা বেগমসহ বাড়ীর ৩/৪ জন লোক এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে গুরুতর আহত স্ত্রী বিলকিছ আক্তার ও শাশুড়ি খালেদা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী বিলকিছ আক্তার মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে শাশুড়ি খালেদা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা বেগম মৃত্যুবরণ করে। পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় স্ত্রী বিলকিছ আক্তারের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১০টি আঘাত ও শাশুড়ি খালেদা বেগমের শরীরে ৯টি আঘাত। এঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় জোড়া খুনের মামলা দায়ের করা হলে মামলার তদন্তকারী অফিসার দীর্ঘ তদন্ত শেষে একমাত্র আসামী মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।পরে দীর্ঘ স্বাক্ষী-সাবুদ শেষে আসামী মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় দোষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য