সব
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় প্রায় আশি হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পেতে যাচ্ছে। এ সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে প্রকাশ, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে। সে আলোকে উপজেলার সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রাপ্ত বই সমূহ ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে। জানা যায়,প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শতভাগ বই উপজেলায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়নি। তবে খুব শীঘ্র সকল প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে যাবে বলে জানান।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন জানান ,প্রাথমিকে নতুন শিক্ষাবর্ষে নতুন বই পেতে যাচ্ছে ৩৩,০৮৭ জন শিক্ষাথী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে প্রকাশ, মাধ্যমিকে নতুন বই পেতে যাচ্ছে ১৮,৭৩৫ জন শিক্ষার্থী, এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ১১,৩৯৮ জন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ১৬,৭৬১ জন । তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম বেশী হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস জানান।
প্রাথমিকে শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রাক-প্রাথমিকে ৫৫৫০ জন, ১ম শ্রেণিতে- ৫৬০৩ জন, ২য় শ্রেণিতে -৫৯০৭ জন, ৩য় শ্রেণিতে- ৬০০৪ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে- ৫২৩১ জন ও ৫ম শ্রেণিতে- ৪৭৯২ জন। বই প্রাপ্তিতে ১ম ও ২য় শ্রেণির শতভাগ বই পাওয়া গেছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৩টি করে বিষয়ের বই পাওয়া গেছে। বাঁকী বই গুলি খুব শীঘ্র উপজেলাতে পৌঁছে যাবে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানান।
মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থী হল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে- ৪৫৫৭ জন, ৭ম শ্রেণিতে- ৪৮০০ জন, ৮ম শ্রেণিতে- ৪৭৭৮ জন ও ৯ম শ্রেণিতে- ৪৬০০ জন। মাধ্যমিকে বিশেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে এছাড়া অন্যান্য শ্রেণিতেও ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি গতবারের তথ্য বলে শিক্ষা অফিস জানান।
স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৩৯ জন। মাদ্রাসা পর্যায়ে এবতেদায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ম শ্রেণিতে- ৭১৯ জন, ২য় শ্রেণিতে-৬১৮ জন, ৩য় শ্রেণিতে- ২৯৪১ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে- ২৭১৪ জন ও ৫ম শ্রেণিতে ২৮৬৭ জন। মাদ্রাসা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬,৭৬১ জন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে প্রকাশ, উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ৬,৭৮,৮০০। ২৬ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বই পাওয়া গেছে ৩,৮৫,০০০। বই প্রাপ্তির হার ৫৭%। অবশিষ্ট বই বাঁকী আছে ২,৯৩,৮০০। এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ৪১% বই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ তেজারত বলেন ১ জানুয়ারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠ,সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস ২০২৩ উদ্যাপন করা হবে। বাঁকী বই গুলি খুব শীঘ্র উপজেলায় পৌঁছে যাবে এবং সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও চলে যাবে।
মন্তব্য