সব
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা এলজিইডি অফিস যেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত টোল প্লাজা। এখানে কাজ পেতে বা বিল তুলতে হলে তাকে ‘ঘুস’ না দিলে ফাইল নড়ে না। এভাবে এক দশকেরও বেশি এই উপজেলায় দুর্নীতির রাজত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রশাসন, দল, সরকার-কাউকেই পরোয়া করছেন না। ঠিকাদারদের অভিযোগ, ঘুস না দলে শফিকুলের টেবিলে ফাইল উঠানোর সাহস কারও নেই। গ্রামীণ সড়কের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) কাজের সুযোগ নিয়ে শফিকুল দীর্ঘদিন ঠিকাদারদের জিম্মি
করে ঘুস আদায় করছেন। সম্প্রতি তার ঘুস নেওয়ার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যায়, শফিকুল ফাইলের ভেতরে লুকানো টাকার বান্ডিল তুলে নিয়ে কোনো কথা না বলেই ড্রয়ারে ঢুকিয়ে দেন। কাজের মান, কাগজপত্র কিছুই আর তখন গুরুত্বপূর্ণ নয়, টাকা পেলেই সব ‘ওকে’। দুর্নীতির এমন প্রকাশ্য প্রদর্শনীতে ছড়িয়ে পড়ার পর নান্দাইল জুড়ে এলজিইডির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে। ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে প্রকৌশলী শফিকুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও কল রিসিভ করেননি।
মন্তব্য