সব
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর ১০৩টি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা ৪৭টি এবং কবিখা চাল ১৮টি, গম ১৫টি প্রকল্পের ২ শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা হয়রানির কথা বলা হয়।
এ সকল ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান কালে জানা যায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে টিআর কর্মসূচি প্রকল্পে ১৬১১৫৪০৮.০ টাকা উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্ধের বিপরীতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর ১০৩টি প্রকল্প দেওয়া হয়। যার ৮ নং প্রকল্পের ভূল নামে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া আছে,১৯ নং প্রকল্পে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চেয়ারম্যান এর তালিকায় নাম নেই। অধিকাংশ প্রকল্পে ৩০ শতাংশ বেশী ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা সরকারের অর্থের অপচয় লুটপাট হওয়ার আশংকা বিদ্যমান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা কর্মসূচি প্রকল্পে একই অর্থ বছরে ২০৪১০৮৮৩.০০ টাকা উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্ধের বিপরীতে ৪৭টি প্রকল্প দেওয়া হয়। যার ৮ নং প্রকল্পের ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সঠিক লোকেশন নাই, ১০ নং প্রকল্প সারে ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চেয়ারম্যান এর তালিকায় নাই, ২৩ নং প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ যার ডিজাইন বরাদ্দকৃত অর্থের সমন্বয় নাই। অধিকাংশ প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দে ব্যাপক গড়মিল রয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা কর্মসূচি প্রকল্পে চাল ১২১.৬৫৪ মে. টন বরাদ্দের বিপরীতে ১৮ টি প্রকল্প নেওয়া হয় এবং গম ১২১.৬৫৪ মে. টন বরাদ্দের বিপরীতে ১৫ টি প্রকল্প নেওয়া হয়। গমের ১নং প্রকল্পে ৬.৬৯৪ মে.টন বরাদ্দের প্রকল্প নাই বাতিল করা হয়। ৫নং প্রকল্প ৮ টন বরাদ্দ হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় মেম্বার বদলিয়ে দিবে বলে জানা গেছে। প্রকল্প তালিকা আরো ব্যপক তদন্ত করলে সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দের প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থের সমন্বয় হীনতা, অপচয় দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে এমন আশংকা থাকায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো কর্মসূচির ২শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমান বলেন ৮০ শতাংশ প্রকল্প তালিকা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা দিয়ে থাকেন আমি উপজেলার প্রশাসক এবং উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হিসাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০ শতাংশ প্রকল্প দিয়ে থাকি। প্রকল্প তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে ডিআরও তদন্ত করছেন, অফিসে আমার টেবিলে তালিকা আসলে আমি স্বাক্ষর করে দেই। প্রকল্প কমিটি এসকল কাজ বাস্তবায়ন করে, কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেই না।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন উন্নয়ন কমিটির সভার আমি সদস্য সচিব প্রকল্প অনুমোদনের সভা আহবান না করে প্রকল্পগুলো যাচাই বাছাই করার সুযোগ না দিয়ে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে ইউএনও মেডাম প্রকল্পে একক ভাবে স্বাক্ষর দিয়ে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন, আমি প্রকল্প গুলো এবং এর বিপরীতে উন্নয়ন ব্যায় বরাদ্দ সঠিক আছে কিনা যাচাই করে স্বাক্ষর দিচ্ছি জানালে ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকজন মিলিত হয়ে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই আমার বিরুদ্দে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা বানোয়াট ভীত্তিহীন অভিযোগ আনয়ন করে। যেখানে প্রকল্প অনুমোদন হয়নি সেখানে দুর্নীতি অনিয়ম হয়রানির সুযোগ কোথায়। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি বলেই চেয়ারম্যানগণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন
মন্তব্য