ময়মনসিংহে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কোতোয়ালী মডেল থানার সাবেক ওসি ফিরোজের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের সুশীল সমাজে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে প্রশংসা কি প্রকৃত কৃতিত্বের জন্য, নাকি ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় সুবিধা আদায়ের অংশ? যদি এটি সত্যিই কোনো ভালো কাজের জন্য হয়, তবে সেটিকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত সুশীলদের। কিন্তু যদি এর পেছনে ব্যক্তিগত সুবিধা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর পতিত শেখ হাসিনার দোসররা প্রশাসনের কর্মকর্তাকে প্রশংসা করে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে ভিন্ন বার্তা বহন করে। হয়তোবা স্বজনপ্রীতি নয়তোবা অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন।
চরাঞ্চলের একাধিক সুত্র জানিয়েছেন, আ’লীগ সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান শাহীন স্থানীয় ভাবে প্রচার করেছে রাজনৈতিক মামলায় জেল থেকে জামিনে এসে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাতে কথা বলেন, এসময় নাকি ঐ কর্মকর্তা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এছাড়াও শাহিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকটাত্মীয় বলে নিজেকে এলাকায় প্রচার করছে এবং পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় বলে আত্মহংকারে ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া হয়ে রাজগঞ্জ সাহেব কাচারি বাজারে এম এন এন্টারপ্রাইজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
সাংবাদিক মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল জানান, স্থানীয়দের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমান শাহীনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসলে আমার উপর মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক দায় চাপিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করায় ওসি সাহেব তাকে ছেড়ে দেন। যেটুকু শুনেছি সন্ত্রাসী শাহীনের বাবার মামা আব্দুল মোতালেবের বাড়ির গৃহশিক্ষক ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল্লাহ আল মামুন। হয়তোবা তিনি আওয়ামী সন্ত্রাসীকে পুনর্বাসন করে ভাতের ঋণ শোধানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে ১৬ মিনিট কথা হয়েছে, কর্মকর্তার একপাক্ষিক পক্ষপাতিত্ব আলাপচারিতায় এবং তদন্তের ব্যর্থতায় আমি খুব হতাশ হয়েছি।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
মন্তব্য