সব
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করছেন, আর এই সময়ে নিজের নামে এবং স্ত্রীসহ স্বজনদের নামে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ময়মনসিংহের স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্লট নম্বর ২৫, ২৭, ২৯, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭, ৩৯, ৪১, ৪৩, ৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯ ও ৬১ সহ মোট ১৮টি জমি তার পরিবারের মালিকানাধীন। এছাড়াও নগরীর কালিবাড়ি মোড় সংলগ্ন টাউন হল রোডে ৫ তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট, গাঙ্গিনারপাড়, টাউন হল, চরপাড়া, আকুয়া ও বলাশপুরে একাধিক প্লট ও ভবন রয়েছে।
শুধু জমি-বাড়ি নয়, জসিম উদ্দিনের পরিবারের নামে রয়েছে ৩টি বিলাসবহুল গাড়ি। গাড়ির মালিকানা কাগজে স্ত্রী ও শ্যালক-ভগ্নিপতির নামে থাকলেও এগুলো প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
সরকারি চাকরিতে থেকেও এত বিপুল সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ঠিকাদারদের পক্ষ নেন, সুবিধা দেন এবং এর বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার সম্পদের পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলেই স্থানীয় সূত্র দাবি করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ প্রকল্পগুলোর বাজেট বাড়াতে গিয়ে জসিম উদ্দিন পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন এবং প্রতি প্রকল্পে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ কথা বললে তাকে বদলি বা হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পরিবার কিছু ব্যবসা করছে এবং সেখান থেকেই এসব সম্পদ এসেছে।
এদিকে স্থানীয়দের একাংশ দুর্নীতির এই পাহাড়ের পেছনে প্রকৃত উৎস অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করেন, এই প্রভাবশালী প্রকৌশলী ও তার নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা না গেলে ময়মনসিংহ সিটির উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আরও বড় ধরনের দুর্নীতির ফাঁদে পড়বে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। রয়েছে বহাল তবিয়তে।
মন্তব্য