সব
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে (১৫-০৪-২০২৫ খ্রি.) ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, টিকেট বিক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের বাছাই পর্বে (3rd Division Qualifying) বিগত বছরগুলোতে ৩/৪টি ক্লাব হতে নামসর্বস্ব আবেদন দেখিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে এরূপ প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। অপরদিকে বিপিএল এর টিকেট বিক্রি নিয়ে আর্থিক অনিয়মেরও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। টিম জানতে পারে সদ্যসমাপ্ত ১১তম বিপিএলে টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় ১৩ কোটি টাকা দেখানো হলেও ৩য় থেকে ১০ম বিপিএল, তথা ৮ বছরে বিসিবির আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা- যা বিগত বিপিএলগুলোতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ইঙ্গিত বহন করে। “ক্রিকেট সেলিব্রেট মুজিব ১০০” বাস্তবায়নে ২৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছিলো এমন তথ্য পায় দুদক টিম। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রায় ১৯ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়।
অভিযানকালে অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতার প্রেক্ষিতে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র যাচাই বাছাই করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংস্কারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জ হতে উক্ত কাজের প্রাক্কলন, কাজ সমাপ্তির সনদ, বিল ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ফ্যানের রেগুলেটর, থ্রি গ্যাং ইত্যাদি হংকং/ মালায়েশিয়া/সিংগাপুর/ দ: কোরিয়া/ থাইল্যান্ড/ ইংল্যান্ড/ জার্মানি/ জাপানী প্রতিষ্ঠানের হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দেশীয় কোম্পানি সুপার স্টারের ফ্যান রেগুলেটর ও থ্রি গ্যাং সুইচ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ১,১২,০০০/- টাকা মূল্যের ২৮ মিটার ক্যাবল ও ২৭,০০০/- টাকা মূল্যের ৬টি সার্কিট ব্রেকার পরিদর্শনকালে পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় উক্ত সংস্কার কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে মর্মে অভিযানকালে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাইপূর্বক অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের স্লিপ ফান্ড ও রুটিন মেইনটেনান্সের অর্থ প্রদানে ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, বাগেরহাট হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম কর্তৃক দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ শিক্ষকদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয়। পরবর্তীতে, টিম কর্তৃক উক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিদর্শনপূর্বক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। গৃহীত বক্তব্য ও রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মন্তব্য