ঢাকা রাত ৮:১০, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের আহবান -সংস্কার কমিটি ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় আ’লীগের ষড়যন্ত্রমুলক গোপন বৈঠক! রাজনৈতিক বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা নিষিদ্ধ করতে হবে: রিজভী মুক্তাগাছায় ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া শিশু’র গলাকাটা লাশ উদ্ধার যারা আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে – প্রেস সচিব ময়মনসিংহে আমন চাউল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনিশ্চয়তা মসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ডন গ্রেপ্তার সাঙ্গু পত্রিকা ২৫ বছরে পদার্পনে কালের প্রতিচ্ছবি পরিবারের শুভেচ্ছা যুবদল নেতা হত্যা! দশ বছরে রাজধানীতে ভাড়া বেড়েছে পাঁচগুণ পল্টনে প্রাইভেটকার চালক সাজু মিয়া হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল আসামি রোকন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে ডিবি প্রতিবেশী ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে ~ কাজী মামুন ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার সীমান্তে সাদ্দাম গ্রেপ্তার দুর্ধর্ষ এক ছিনতাইকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ‘তাদের সমন্বয়ে গঠন হোক বিশেষায়িত উইং’ টংক আন্দোলনের মহীয়সী নারীনেত্রী শহিদ রাশিমণির ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত জামালপুর পতিতা পল্লী থেকে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন: ডিএমপি কমিশনার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঝিনাইগাতীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোর ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন ময়মনসিংহে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুসহ চার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আ.লীগের বিচার বিলম্ব করা জুলাই আন্দোলনের অপমানের শামিল – হাসনাত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিলে কী হবে জানালেন প্রেস সচিব ময়মনসিংহে ইয়াবা ও গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম একই কর্মস্থলে বিশ বছর পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের ১২ সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় বাতিল ১০০ কোটি টাকার কাজ, দুভোর্গে নগরবাসী

দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতার বীজ বপন হয়েছে – গোলাম মোহাম্মদ কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক।। আপডেটঃ রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ 23 বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করা উচিৎ হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্তাজে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সাথে আপনাদের তফাৎ কী? শেখ হাসিনা মনে করতো বিএনপি ও জামায়াত করলেই অপরাধী, এখন তো আপনারা সেটাই করছেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সকল দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোন আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাইে আমরা তা প্রতিহত করবো। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নাই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি আছে, বিজিবি আছেন না?

গতকাল দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।

সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। তাদের ভাটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। ভোটের হার ছিল ০৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে একটা অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদাররা বলেছিল আমরা মানুষ চাইনা মাটি চাই। পোড়ামাটি নীতিতে মানুষকে গাদ্দার মনে করা হয়েছিল। ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে বাদ দিয়ে সুন্দর দেশ গড়া বাস্তবসম্মত নয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। তা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ¦ালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সেল্ফসেন্সরশীপ চলছে। সাংবাদিকরা ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। পাসপোর্ট পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বিচারে আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি।

৩০ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পত্রিকায় দেখেছি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেছেন, রাষ্ট্রসংস্কার ছাড়া অন্তবর্তীকালীন সরকার চলে গেলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাড় করাবে। অত্যন্ত সত্য কথা। আন্দোলনটা ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কারণ, শেখ হাসিনা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার লোকজন লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছিল। একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির মুক্তি মিলবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ধরণের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দানবীয় সরকার গঠন করেছিল। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য শুধু ছাত্র না আজীবন সকল শ্রেণীপেশার মানুষ যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীতে এটি সংসদেও পাশ করতে হবে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কি সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করছে? এখন দেখা যাচ্ছে ঐক্যের চেয়ে প্রতিশোধের বিষয়টি সামনে আসছে। কেউ অপরাধ করলে বিচার করতে হবে, সরকার প্রতিশোধ পরায়ন হলে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আইনে বলা আছে ১০টি অপরাধী ছাড়া পেলেও যেন একজন নিরপরাধ শাস্তি না পায়। আপনারা সেটা ফলো করছেন? হত্যা মামলায় লাখ লাখ মানুষকে আসামী করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা হচ্ছে সরকারের শক্তির উৎস্য। শক্তিশালী হাতকে লুলা করে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবসময় সবার সমর্থনে সাফল্য পেয়েছে। শরিয়া আইনে আছে মানুষের বিচার করতে হবে তার নিয়ত দেখে, তার কাজ দেখে নয়। পুলিশের কিছু সদস্য চাকরী করে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য। তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। ইচ্ছা করে সবাই শেখ হাসিনার অপকর্মে জড়িত হয়নি। সবাইকে ঢালাও করে অপরাধী করলেন, শত্রু বানালেন, বাদ দিলেন… এরমধ্যেই শূন্যস্থানগুলোতে পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন অন্তবর্তীকালীন চেয়ে তাদের নিয়োগ দাতাদের কথা বেশি শুনছেন। এমন প্রশাসন দিয়ে কিভাবে সংস্কার ও নির্বাচন হবে? শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তবর্তীকালীন সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। দেশের ব্যবসায়ী সহ সকল পেশাজীবীরা চিন্তিত ও দুরদশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উপরও হাত দিয়েছে, আমরা সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার সেই সমর্থন পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। ওনাদের সাথে কথা বলে আমরা সেটি হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। তারা কর্মচারী দিয়ে সেই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে এমনকি ছবি তুলতেও নিষেধ ছিল তাতে। তারা সময় দিয়েও আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করতে চাইনি। আমরা এতো ঘৃণ্য হয়ে গেলাম? আমরা এতো নীচ হয়ে গেলাম। আমাদের হাত থেকে প্রস্তাবনা নিতে ঘৃণা হয়? ঘৃণা সবসময় ঘৃণার জন্ম দেয়। আমরা জানি, আপনারা সবাই ভালো মানুষ। কিন্তু কাজ করার জন্য যে শক্তি দরকার আপনারা তা হারিয়ে ফেলেছেন। মানুষকে পথেঘাটে নির্যাতন করা হচ্ছে। এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে? অন্তবর্তীকালীন সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন কার কথায় চলছে? এমন বাস্তবতায় আমাদের লোকজন ভোট দিতে পারবে? আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে দাড়াতে পারবে? আওয়ামী লীগের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে সব পাশ করিয়ে দিলেন, সেটা কি টেকসই হবে? এমন সংস্কারে কি রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে? অস্থিরতা কি থামবে? দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? দেশে অরাজকতা ও অস্থিরিতার বীজ বপন হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনে জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন? নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক। কোন রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইন বিরোধী না হয় তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। তাদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই নিয়ম।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। ভালো নির্বাচন হবে, আরো ভালো গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হবে এমন আশ^াস দেওয়া হয়েছিল তিন জোটের রূপ রেখায়। তাতে কমিটমেন্ট ছিল দেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হবে। তাদের এই অঙ্গীকারে শ্রদ্ধাশীল হয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তিনি মনে করেছিলেন, জনগণ এমন প্রত্যাশা করছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবসময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছেন। একইভাবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণও করেছিলেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। বিএনপি কিছু নেতা সহ সকল রাজনৈতিক দল তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বাগত জানিয়েছিল। পরবর্তীতে অনেকে বলেছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। কখনো কখনো অসাংবিধানিকভাবেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়, এটা এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে কখনো অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করা হলেও তা কখনো কখনো নিন্দনীয় নয়। এটা এখন প্রমাণ হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রপ্রধান। দেশের জনগণ যখন যা প্রত্যাশা করেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা পালন করেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যনীতি করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন জনগণের একটি অংশ থেকে বাঁধা আসায় তিনি তা বাস্তবায়ন করেনি। এখন অবশ্য অনেকেই বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগই সঠিক ছিল। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও দিয়েছিলেন যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছিল। হুসেইন মহুম্মদ এরশাদ সবার সম্মতি নিয়েই ঔষধ নীতি করেছিলেন, দেশের মানুষ এখন তার সুফল ভোগ করছে। তিনি বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু যখন আদালত এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে রায় দিয়েছে, তখন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন। বিরোধী দলগুলোর আহ্বানে তিনি পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে রাজি হয়েছিলেন। ওই সময় বিরোধী দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরবর্তীতে তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জানতেন জনগণের সমর্থন জাতীয় পার্টির উপর আছে। সেটা প্রমাণ হয়েছে পরপর দুইটি নির্বাচনে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কারাগারে থেকে ৫টি করে আসনে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আমৃত্য কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি। ১৯৯৭ সালের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেল থেকে মুক্তি পেলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ চায়ের আমন্ত্রণ জানান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাথে আমিও ছিলাম। তখন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৯১ সালের নির্বাচনের সময়ে তার অপারগতা ও সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই নির্বাচিত হবেন, তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে। ইরাকের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি স্বর্ণের পিস্তল উপহার দিয়েছিলেন। সরকার যখন অস্ত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় তখন সেই অস্ত্রটি জমা দেওয়ার সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছিল। মামলা চলাকালীন অস্ত্র মামলার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আপিলে তিনি এই মামলা থেকে মুক্তি পান। মঞ্জুর হত্যার ১৪ বছর পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। যখনই মামলাটির রায় ঘোষণা হবে তখণই বিচারক বদল করে ওই মামলাটি নতুন করে চালু করা হয়েছিল অন্ততঃ ২২ বার। আমৃত্য এই মিথ্যা মামলার আসামী ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একটি মানি স্যুট মামলায় তাকে ২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই মামলার রায় জাতীয় পার্টির পক্ষে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রক্তে যখন বিলিরুবিন ২৭ থেকে ২৮ তখন আমরা বারবার আবেদন করলেও সরকার তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়নি। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অসংখ্য মামলা হলেও ডাঃ মিলন ও নূর হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করা হলো না কেন? অপবাদ দেয়া হলেও কোন সরকারই নূর হোসেন ও ডাঃ মিলন হত্যার মামলা করেনি। দেশ ও জাতির স্বার্থে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করছি, একই সাথে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এতে জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হলো। ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে মাত্র ১৮টি দলের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সেই নির্বাচন দুটি ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ২০০১ সালে বিএনপি ১৯৩টি আসন জিতে সরকার গঠন করেছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপি ৪০.৯৭ ভোট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে বিএনপি’র চেয়ে ১৩১ সিট কম পেয়ে খুব খারাপ ফলাফল করেছিল। আওয়ামী লীগের ভোটের পার্সেন্টেস ছিল ৪০.১৩। সেখানে ভোটের শতকরা ব্যবধান ছিল ১ শতাংশেরও কম। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। জাতীয় পার্টি ভোট পেয়েছিল শতকরা ৭.২৫। ২০০১ সালে জামায়াত পেয়েছিল ১৭টি আসন। তাদের শতকরা ভোটের হার ছিল ৪.২৮।

সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আখতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, শেরীফা কাদের, মাসরুর মওলা, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, এ্যাড. নুরুল ইসলাম তালুকদার, নোমান মিয়া, এ্যাড. লাকী বেগম, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, মোঃ জাহিদ হাসান, মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, গোলাম রহমান মামুন, মেজর অব. মাহফুজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ আলমগীর হোসেন, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া, আব্দুল হামিদ ভাষানী, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান মানসুর, মোঃ হুমায়ুন খান, জয়নাল আবেদীন, মোঃ আব্দুল হান্নান, সোহেল রহমান, এমএ রাজ্জাক খান, মিজানুর রহমান মিরু, জামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম খান জুয়েল, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, এ্যাড. আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, শেখ মোঃ শান্ত, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ সামছুল হুদা মিয়া, মোঃ রেজাউল করিম, হুমায়ুন কবির শাওন, ওমর আলী মান্নাফ, আলাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম সরদার, মোতাহার হোসেন শাহীন, তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, সোলায়মান সামি, মেহেদী হাসান শিপন, শাহ্ ইমরান রিপন, আল আমিন সরকার, নাজমুল হাসান রেজা, পারভেজ সাজ্জাদ, মাহমুদ হক মনি। ছাত্র সমাজ এর আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্স, তরুণ পার্টির সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান, সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন।

মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল

আপলোডকারীর সব সংবাদ
শিরোনাম:
ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের আহবান -সংস্কার কমিটি ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় আ’লীগের ষড়যন্ত্রমুলক গোপন বৈঠক! রাজনৈতিক বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা নিষিদ্ধ করতে হবে: রিজভী মুক্তাগাছায় ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া শিশু’র গলাকাটা লাশ উদ্ধার যারা আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে – প্রেস সচিব ময়মনসিংহে আমন চাউল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনিশ্চয়তা মসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ডন গ্রেপ্তার সাঙ্গু পত্রিকা ২৫ বছরে পদার্পনে কালের প্রতিচ্ছবি পরিবারের শুভেচ্ছা যুবদল নেতা হত্যা! দশ বছরে রাজধানীতে ভাড়া বেড়েছে পাঁচগুণ পল্টনে প্রাইভেটকার চালক সাজু মিয়া হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল আসামি রোকন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে ডিবি প্রতিবেশী ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে ~ কাজী মামুন ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার সীমান্তে সাদ্দাম গ্রেপ্তার দুর্ধর্ষ এক ছিনতাইকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ‘তাদের সমন্বয়ে গঠন হোক বিশেষায়িত উইং’ টংক আন্দোলনের মহীয়সী নারীনেত্রী শহিদ রাশিমণির ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত জামালপুর পতিতা পল্লী থেকে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন: ডিএমপি কমিশনার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঝিনাইগাতীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোর ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন ময়মনসিংহে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুসহ চার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আ.লীগের বিচার বিলম্ব করা জুলাই আন্দোলনের অপমানের শামিল – হাসনাত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিলে কী হবে জানালেন প্রেস সচিব ময়মনসিংহে ইয়াবা ও গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম একই কর্মস্থলে বিশ বছর পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের ১২ সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় বাতিল ১০০ কোটি টাকার কাজ, দুভোর্গে নগরবাসী