সব
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন।
এ উৎসবকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়। রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্রতিমা।
এ বছর দুর্গাপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ৬৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার পৌর শহরের দশভূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা । যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।শিল্পীর রংতুলির ছোঁয়ায় প্রতিটি প্রতিমা জেগে উঠছে স্ব-মহিমায়। তুলির শৈল্পিক আঁচড়ে ফুটে উঠছে মা দূর্গা, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী ও মহিষাসুরের প্রতিমা।
প্রতিমা শিল্পী নারায়ণ পাল ও হৃদয় পাল জানান, মাটির কাজ শেষে এখন রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরপর প্রতিমার অলংকার ও সাজসজ্জার কাজ করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রতিমাগুলোর কাজ শেষ করা হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী দিবস সাহা জানান, গণেশ, কার্তিক, লক্ষী ও সরস্বতী এই চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে এবার দোলায় করে বাবার বাড়ি মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দূর্গা, আর কৈলাশে ফিরে যাবেন গজে।দেবী দুর্গার আরাধনায় সকল অশুভ শক্তি বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির অভ্যুদয় ঘটবে এটাই আমাদের প্রার্থনা।
দূর্গাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা জানান,এ বছর দুর্গাপুর উপজেলায় ৬৩টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আমাদের মত বিনিময় হয়েছে । পূজার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহলে থাকবে । আশা করি দুর্গাপুর উপজেলা সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন হবে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলান জানান, পূজায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশ দিন-রাত সার্বক্ষণিক কাজ করবে৷
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থাকবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে।
আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মন্তব্য