সব
রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি অতি উগ্র অংশ নব্য জেএমবি’র শীর্ষ নেতা আবু বকর সিদ্দীক ওরফে আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নিকট হতে বিস্ফোরক তৈরির ডেটোনেটর, সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নব্য জেএমবির আদর্শ প্রচারকারী পত্রিকার একাধিক কপি জব্দ করা হয় ।
আজ শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সবুজবাগের বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী পিপিএম ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আবু বকর সিদ্দীক ওরফে আবদুল্লাহ নব্য জেএমবি’র শীর্ষ নেতা। তিনি ও তার অপরাপর পলাতক সহযোগীগণ নব্য জেএমবির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়েছিলেন। তারা অনলাইন প্লাটফর্মে ও প্রোটেকটেড টেক্সট অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে সংগঠনের উগ্রবাদি লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নব্য জেএমবির সদস্যদের দিয়ে ভিন্ন ধর্ম অবলম্বনকারীদের উপাসনালয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন লক্ষ্য বস্তুতে হামলা পরিকল্পনার মূল সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি এ সকল সহিংস কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি মূলত সংগঠনের সহিংস উগ্রবাদি আদর্শ প্রচার ও সদস্য সংগ্রহের কাজে নব্য জেএমবির আদর্শ প্রচারকারী পত্রিকাগুলো ব্যবহার করতেন।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী পিপিএম আরো জানান, তিনি ইতোপূর্বে নব্য জেএমবির নেতা হিসেবে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি পুনরায় সংগঠনের কাজে সক্রিয় হন। তাৎক্ষণিকভাবে তার নিকট হতে জব্দকৃত মোবাইল ফোন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এতে টর ব্রাউজারসহ বিভিন্ন অ্যাপস এবং নব্য জেএমবির আদর্শ সমর্থনমূলক বিভিন্ন পিডিএফ ও অন্যান্য তথ্য রয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আবু বকর সিদ্দীককে সবুজবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য