সব
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া মন্ডলপাড়া গ্রামে মাছ ও মিশ্র চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সিজ্জিতুল মনির মাসুম। প্রথমে ছোট পরিসরে ২৫ শতাংশ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি পাঁচ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে পরিবারে স্বচ্ছলতা এনেছেন। মাসুম এর বাবার মৃত্যর পর রেখে যাওয়া সম্পত্তি বাড়ী ভিটা আর মাত্র ২৫ শতাংশ একটি পুকুর। কিভাবে সংসার চালাবে, বাবার বড় ছেলে হিসেবে দুশ্চিন্তায় ছিল মাসুম। মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০০ সাল থেকে গ্রামের একটি ২৫ শতাংশ জমির পুকুরে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। পরের বছর অন্যের জমি লিজ নিয়ে গ্রামের আরও দুটি পুকুরে মাছ চাষের বিস্তৃতি বাড়ান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাসুমকে। বর্তমানে তিনি এলাকার ৫ একর জমিতে পাংগাস, তেলাপিয়া, শিং, পাবদা, রুই, গুলসা, দেশীয় প্রজাতির টেংরা ও মলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে তিনি কৃষি আবাদ হিসেবে মরিচ, বেগুন, কলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করেছেন এবং তার বাড়ীর পার্শ্বে ছোট খাটো একটি গরুর ফার্ম রয়েছে। এ অবস্থায় মাসুম আজ নিজে স্বাবলম্বীসহ ভাই-বোনদেরকেও স্বাবলম্বী করেছেন। তার এক ভাই ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদির জিলানী, আরেক ভাই ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, আরেক ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস দেওয়ারা জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আরেক ভাই হাফেজ মোঃ হাসিবুল হাসান, এই বছর কামিল পাশ করেছেন। চার বোনকে বিবাহ দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘সিজ্জিতুল মনির মাসুম মাছ চাষের ওপর যে কাজ করছেন তা মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে দৃষ্টান্ত। সিজ্জিতুল মনির মাসুম সফল মৎস্য চাষী হিসেবে জেলা পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্তও হয়েছিলেন।’ উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘মাসুম মৎস্য চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কৃষি আবাদেও বেশ সফল হয়েছেন।’
মন্তব্য