সব
গাইবান্ধার-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুর্রবৃত্তদের গুলিতে সাংসদ লিটন গুরুত্বর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ষষ্ঠ মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ মাষ্টার পাড়া গ্রামে সাংসদ লিটনের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন পরিবারের সদস্যরা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে প্রয়াত সাংসদ লিটনের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংসদ লিটনের বড় বোন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, সাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজা বেগম কাকলী, সাদিক সাদনান রাতিন, দপ্তর সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল ইসলাম বকুল, পৌর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল, যুব মহিলালীগের সভাপতি আল্পনা গোস্বামী, শ্রমিকলীগের সভাপতি গণেশ চন্দ্র শীল, যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম রানা, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রতন মিয়া, সুমন মিয়া প্রমূখ।
উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।
সাংসদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ৫ হতে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। জেলা দায়রা ও জজ আদালত ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর এমপি লিটন হত্যাকান্ডে জড়িত সাত আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিতরা হলো- জাপা’র সাবেক সাংসদ আব্দুল কাদের খান ও তার পিএস শামছুজ্জোহা, হান্নান, মেহেদী, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আদেশ কার্যকর করা হয়নি।
মন্তব্য