সব
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া কাজ শেষে ঠিকাদারের জামানতের ৮ হাজার রেখে দিয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর জব্বার।
সুত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিতু ট্রেডার্স ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার ফুলবাড়ীয়া মহিলা কলেজের ড্রেন নির্মাণ কাজ পায়। ২০২৪ সালের ২৩ মে কাজটি পৌরসভাকে বুঝিয়া দিয়ে চূড়ান্ত বিল গ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ হলেও এক বছরের জন্য কর্তৃপক্ষ ১০ শতাংশ হারে জামানত রাখে। এক বছর কাজের কোন ক্রটি না হলে জামানতের পুরো টাকা ঠিকাদারকে ফেরত দেয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে, কাজ সমাপ্তের এক বছর পর ২০২৫ সালের মে মাসে জামানতের ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন চেষ্টা তদবির করলে গত ৪ ডিসেম্বর ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা ৮ হাজার টাকা রেখে ৪৪ হাজার ৯৫৮ চেক দেন ঠিকাদারকে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে ঠিকাদারি করে আসছি। ইতিপূর্বে কোন প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেনি। ঠিকাদারি কাজের জামানতের অর্থ পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর জব্বার আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিয়ম ভেঙে কোন নোটিস না দিয়ে আমাকে জামানতের সম্পূর্ণ টাকার চেক দেয়নি। আমি তার কাছে জানতে চাইলে, সে বলে যেটুকু পেয়েছেন এইটুকুই বেশি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অতিসত্বর আমার জামানতের টাকা ফেরত দেয়াসহ এই দূর্নীবাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এবিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল জব্বারের নাম্বারে ফোন করলে রিসিভ করেন। কোন নোটিস ছাড়াই টাকা কেটে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন।
এবিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া সহকারী প্রকৌশলী লুৎফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের জানতে চান, এই নাম্বারে হোয়াটস অ্যাপ আছে কিনা? হোয়াটসঅ্যাপ আছে জানালে তিনি বলেন, আমি আপনাকে আধা ঘন্টা পরে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করব। কিছুক্ষণ পরে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে বলেন, ওই ঠিকাদারের কাজে ক্রটি ছিল। তাই টাকা কেটে রাখা হয়েছে। টাকা কেটে রাখার বিষয়ে ঠিকাদারকে কোন নোটিস দিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। সরকারি কাজে মৌখিকভাবে জানানোর কোন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে জানানোর কোন নিয়ম নাই। তাহলে নোটিস ছাড়া কেন টাকা কেটে রাখলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এই কথাগুলো মোবাইলে তো বলা যেত, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে বলার প্রয়োজন হলো কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না এমনিতেই হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলছি।
মন্তব্য