সব
তিন দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক আজও চলছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসুচী। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে এমনটি চিত্রই দেখা গেছে।
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে কর্মরত সহকারি শিক্ষকগণ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর ঘেড়াও করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কর্মসুচী নিয়ে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন মর্মে অবহিত করেন।
শিক্ষার্থী অভিভাবক দিলদার হোসেন বলেন, শিক্ষকদের দাবী যৌক্তিক। তবে কোমলমোতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন এটা কোন মতেই কাম্য নয়। আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে শিক্ষকদের অনুরোধ জানাই, আপনারা অন্তত পরীক্ষা গুলো চলমান রাখেন।
এ নিয়ে শিক্ষক নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘চাইনা কোন আলাপন-দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’’ তিন দফা দাবিতে কয়েকদিন ধরেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। সরকার যদি আমাদের দাবী মেনে নেন, তাহলে বন্ধের দিনে হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে সাময়িক সমস্যা দুর করবো। আর যদি দাবী না মেনে নেন, হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
অপর এক শিক্ষক মজিবুর রহমান লিটন বলেন, আমাদের নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। মুলা ঝুলানো কথা আর বিশ্বাস করবো না। বহু শান্তনা মুলক কথা শুনেছি, শিক্ষকদের অনেক রক্ত ঝড়েছে, আহত হয়েছে অনেক শিক্ষক, মৃত্যুবরণও করেছে। আমাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হলে, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, সহকারি শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়েছি অন্তত: পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে। কিছু কিছু স্কুলে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে আবার অনেক স্কুলে পরীক্ষা না নিয়ে সহকারি শিক্ষকগণ বিরত রয়েছেন। সকল স্কুলে পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আফসানা বলেন, আন্দোলন বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে যে সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে, ইতোমধ্যে আন্দোলনে থাকা শিক্ষকদের তা জানিয়েছি। জেলার অনেক প্রাথমিক স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে অভিভাবকগণ আমার কাছে এসেিেছলেন। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।
মন্তব্য