সব
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এনসিপি ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সারজিস আলম বলেন, শাপলা পাব না আমরা এটা বিশ্বাস করি না। যেহেতু আইনগত কোনো বাধা নেই, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেবে। সেই শাপলা নিয়েই এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, যে নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে একজনকে একটা মার্কা থেকে বঞ্চিত করতে পারে, সেই নির্বাচন কমিশন এই বাংলাদেশ কখনই স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে না। ওই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, তারা কী জনগণের মুখাপেক্ষী? নাকি কাল্পনিক কোনো দলের মুখাপেক্ষী? নাকি কোনো অস্ত্রের ভয়ে ভীত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মুখাপেক্ষী? এই উত্তর তাদের দিতে হবে।
সারজিস আলম বলেন, এনসিপি কয়েকটি সিটের জন্য বাংলাদেশে রাজনীতি করছে না। ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা চব্বিশ। এই চব্বিশে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের নিয়ে এনসিপি গঠন হয়েছে। কয়েকটি সিটের জন্য এনসিপি কারও সঙ্গে ঐক্য করবে, এনসিপি সেটা বিশ্বাস করে না। আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। নিম্নকক্ষে পিআর চাই না।
সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্বির জন্য কাজ করছি। বিগত সময়ের যে কালচার টাকার বিনিময়ে নমিনেশন, আমরা সেই করাপটেড কালচারে যেতে চাই না। তাই আমরা জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটি করতে চাই। আর বিশ্বাস করি- আমাদের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকটি আসনে আমরা জিতে আসার মতো সেই ধরনের যোগ্য প্রার্থীদের নমিনেশন দিতে পারবো।
সুস্থ ধারার রাজনীতিতে আমাদের ফিরে যেতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের তরুণদের নিয়ে সামগ্রিকভাবে সব প্রকার দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই- এই লড়াইটা আমরা চালিয়ে যেতে চাই। সংসদে না গেলে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন হবে না।
সারজিস আলম বলেন, আমরা চাই স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি সংসদ, সংস্কার ও বিচার। এই কার্যক্রমের যে ধারাবাহিকতা- নির্বাচনের পরে এনসিপি তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করবে। তাছাড়া তারুণ্যের ক্ষমতায়ন আগামীর বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেই তরুণদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্নীতিবিরোধী একটি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই মেসেজগুলো দিতে ময়মনসিংহ জেলা ও উপজেলা এবং মহানগর পর্যায়ে কমিটিতে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা এই সমন্বয় সভাটি করছি। আমরা আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এনসিপির সাংগঠনিক বিস্তৃতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়বে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান বিচারের পরে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে এনসিপি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাবেদ রাসিনের সভাপতিত্বে এনসিপি নেতা আশিকিন আলম, এটিএম মাহবুবুল আলম, আবু রায়হান, মাহমুদুর রহমান, মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য