সব
ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেছেন, দূর্গাপূঁজা উপলক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমার থানায় নেই।
তবে পূজাঁ মন্ডপে কেউ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য (বিপিএম), জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা (পিপিএম) এর নির্দেশে শারদীয় দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তায় টহল বৃদ্ধি করিছি, আমার চৌকস পুলিশ অফিসার কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শন (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) ওয়াজেদ আলী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ পরিদর্শক ১ নং পুলিশ ফাঁড়িসহ সকল ফাঁড়ির অফিসারগণ প্রতিনিয়ত পূজা মন্ডপ গুলো পরিদর্শন করে যাচ্ছে এবং বিসর্জন মুহুর্ত পর্যন্ত সবসময় নজর দারীতে থাকবে।
এই থানায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি নিজেও আপনাদের যেকোন সমস্যায় পাশে আছি এবং থাকবো।যদি কেউ আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে কঠিন হাতে জবাব দিবো।
রবিবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দিনভর মহানগরের ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার সুতিয়াখালী, পালপাড়া পুঁজা মন্ডপ, সাহাপাড়া পুজাঁ মন্ডপ, ২৪নং ওয়ার্ড বয়ড়া বাকৃবি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পিছনে হিন্দু পাড়া শ্রী শ্রী গোবিন্দ রাধা মন্দির, বলাশপুর মাতৃ মন্দির, দুর্গা মাতা মন্দিরসহ বিভিন্ন পুজাঁ মন্ডপ পরিদর্শন কালে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি পরিদর্শন বহিতে সাক্ষর করেন এবং পুজাঁ মন্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনীর কর্মতৎপরতার খোঁজ নিয়ে তাদের মন্ডপের নিরাপত্তা জোরদারে আরো তৎপর ও সাজাগ থাকার আহবান জানান।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন-ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালি এটি একটি সম্প্রতির বন্ধনের শহর আমরা আশা বাদী সব কিছু সুন্দর ভাবে চলছে এবং চলবে।
আমাদের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য (বিপিএম) মহোদয় ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা (পিপিএম) স্যার নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিতে চাই, কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের জন্য কোনো কার্যক্রম বা ষড়যন্ত্র করলে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী যতবড় ক্ষমতাশালীই হউক কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি আরো বলেন-পাশাপাশি আমি বিশ্বাস করি, অসাম্প্রদায়িক শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ বিষয়গুলো যদি তারা আমলে নেয়, সবসময় সতর্ক থাকে, তাহলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য যারা পাঁয়তারা করে গুটি কয়েক লোক তারা কখনো সফল হতে পারবে না।
’তিনি আরো বলেন- প্রতিটি মন্ডবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই আমরা প্রত্যাশা করি ভালো হবে। কিন্তু এ-ও সত্য যে আমরা যে কোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসব পালনকালে পূজাঁরী ও ভক্তবৃন্দ যাতে শান্তিতে উৎসব করতে পারে তার দিকে কঠোরভাবে নজর রাখার আহবান জানিয়ে তিনি মন্ডপে দায়িত্বপালনকারী, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের উদ্দেশ্যে বলেন- দায়িত্বে অবহেলা কারো সুযোগ নেই, পূজামন্ডপসহ আশপাশ এলাকায় সব সময় নজরদারিতে রাখতে হবে।কোন অপরাধের গন্ধ পেলেই তাৎক্ষণিক অপরাধীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ।
তিনি আরো বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব কে সকলের জন্য উৎসব ও আনন্দমোখর করতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।
এসময় তার সাথে মহানগর পুজাঁ উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী রকেট, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ রববানী,২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার সুতিয়াখালী পালপাড়া পুঁজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি কানাই চন্দ্র পাল ,সাহাপাড়া পুজাঁ মন্ডপ কমিটির সভাপতি প্রমোদ চন্দ্র সাহা, ২৪নং ওয়ার্ড বয়ড়া বাকৃবি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পিছনে হিন্দু পাড়া শ্রী শ্রী গোবিন্দ রাধা মন্দির কমিটির বিনয় চন্দ্র সুত্র ধর, সাধারন সম্পাদক রতন কুমার সরকার,বলাশপুর মাতৃ মন্দির কমিটির বাদল পাল, দুর্গা মাতা মন্দির কমিটির সভাপতি রতন পাল, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ পাল,কোষাধ্যক্ষ রাজীব পাল ও সুবল দাস,স্বপন দাসসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য