সব
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনের গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়ীয়া ভাটিপাড়ায় সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর সভাপতি(পদাধিকার বলে)প্রেস ক্লাবের সকল প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সদস্যবৃন্দদের সাথে নিয়ে কবর জিয়ারত করেন। পরে নিহত আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন, আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকালে ফুলবাড়ীয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ফুলবাড়ীয়া প্রেস ক্লাবের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ।
বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি আশরাফুল আলম।
এরপর ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রয়াত সাংবাদিক তুহিনের পিতা-মাতা ও স্ত্রীর সাথে কথা বলেন।পরিবারপরিচালনায় যে কোন সমস্যায় ফুলবাড়ীয়া প্রেস ক্লাব তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক রফিক আহমেদ মিঠু, নুরুল ইসলাম খান, আবুল কালাম, কবির উদ্দিন সরকার হারুন, আ: হালিম, সাইফুল ইসলাম তরফদার, মো. আব্দুস ছাত্তার, আল এমরান, রফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, নজরুল ইসলাম খান, আশরাফুল ইসলাম আসাদ, আলী আশরাফ, হেলাল উদ্দিন উজ্জল, আলামিন, মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব, সেলিম হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আলোচিত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় পরিবার অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। বিবাহিত জীবনে তিনি স্ত্রী, তৌকির (৭) ও ফাহিম (৩) নামের দুই ছেলে সন্তান রেখে গেছেন। বৃদ্ধ বাবা ও মায়েরও নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন প্রয়াত সাংবাদিক। অভিভাবকহীন পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল-আলম এমনটি জানিয়েছেন ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান।
ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দরা।
মন্তব্য