সব
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও সরকারী বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে এই অভিযোগটি করেছেন ধৌবাউড়া সদর ব্লকের জয়পুর গ্রাম নিবাসী আদর্শ কৃষক রেজাউল মোর্শিদ। কৃষকের অভিযোগে জানা যায় গেল আমন মৌসুমে আকস্মিক বন্যায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ৮শ ৬০ জন কৃষকের জন্য পুনর্বাসন বরাদ্দ দেয় সরকার। খনর পেয়ে কৃষক রেজাউল মুর্শিদ নিজের ১ একর জমিতে সবজি চাষের জন্য প্রণোদনার বীজ চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে। কৃষি কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন বীজ বিতরণ শেষ। গোডাউনে প্রচুর বাীজ থাকা সত্বেও তিনি কৃষককে নাই কথাটি বলেন। খোঁজ খবর নিয়ে কৃষক রেজাউল আরো জানতে পারেন যে, সরকার ধৌবাউড়া উপজেলার ৭৮৬০ জন কৃষকের জন্য মাথাপিছু ৬শ টাকার করে বরাদ্দ দেন সরকারি বিএডিসি গুদাম থেকে বীজ কিনতে।
কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা বিএডিসি গুদাম থেকে মানসম্পন্ন বীজ না নিয়ে নিজ পছন্দের ইস্পাহানি কোম্পানির নিম্ন মানের বীজ ক্রয় করেন কম মুলো ( মাথাপিছু ৩২০ টাকায়)।
কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি গত ডিসেম্বরে ধৌবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্মকর্তা পদে যোগদান করার পর বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনীর টাকা, রাজস্ব, পুর্ণবাসন ইত্যাদির টাকা মিলে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোন বরাদ্দ ছাড়াই তিনি ৬/৭ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন নিজ কক্ষ মেরামতে ও সাজাতে। তিনি অফিসের জন্য সিসি ক্যামেরা কিনতে তিন মাস আগে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও এখনো অফিসে কোন ক্যামেরা লাগানো হয়নি। আরো জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ধোবাউড়া শাখায় উপজেলা কৃষি অফিসারের নামের ২০০০০০১৭৮ নং একাউন্ট এর চেক নং-গঙ-৮৫৯৩২০৬ হতে গঙ-৮৫৯৩২১৮ পর্যন্ত মোট ১৩টি চেকে ইস্পাহানি এগ্রোঃ লিঃ কে মোট ৪৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা প্রদান-করেন। যার মধ্যে ওই কোম্পানীটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার বুঝে পায়। বাকী টাকা থেকে ১৪ লাখ টাকা নিজ অফিসের উচ্চমান সহকারীকে দিয়ে ০৫/০২/২০ ইং তারিখে ব্যাংকের একই শাখায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসির নির্জ ব্যক্তিগত ৩৩২৬৬০২০০২৩৬৫ নং একাউন্টে ১৪ লাখ লাখ টাকা জমা দেন। অবশিষ্ট নগদ ৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা তিনি বাসায় নিয়ে যান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি উপজেলার সার ব্যবসায়ীগনের সঙ্গেও অতাত করে বিএডিসি হতে সরকারী মূল্য ১০৫০ টাকার চেয়ে অধিক মূল্যে অর্থাৎ ১৩০০ টাকায় ও আমদানীকৃত ডিএপি সার ১৫০০/- টাকায় বিক্রি করেন। এই ভাবে সাধারণ কৃষক বৃষকদের কাছ থেকে লাখ, লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব ছাড়াও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধারণ কৃষকদের সঙ্গে অশালীন আচরন করে থাকেন।
কৃষকদের ঠকিয়ে ও অধিকার বঞ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদির ফেরদৌসির বৃহৎ অংকের অর্থ আত্মসাতের বিষযে এতদাঞ্চলের অতিঃ পরিচালক ড: সালমা লাইজু ও উপ-পরিচালক ড. নাসরিন আক্তার বানু অবগত হযেও বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য