সব
সারাদেশে শিক্ষা অঙ্গনে শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি বন্ধের দাবিতে উত্তাল, ঠিক সেই মুহুর্তে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা পায়নি একই কলেজের এক শিক্ষার্থী।
এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং দ্বায়িত্বশীল শিক্ষক মণ্ডলীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে ও ম্যানেজিং কমিটির লালিত ঐ ডেমোনেস্ট্রেটর বহু নারী কেলেংকারী মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান জুয়েল রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
সুত্র জানায়, যে কোন সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল সহ হামলার আশংকা রয়েছে।
মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ জানান, কলেজটি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুয়াকাটায় বার্ষিক বনভোজন বা পিকনিকের আয়োজন করা হয়। ঐ বনভোজনে অত্র কলেজের ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েল কর্তৃক একই কলেজের এক ছাত্রী যৌন হয়রানি শিকার হন।
পরবর্তীতে ঐ ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে সন্তোষজনক বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কলেজটির ম্যানেজিং কমিটির দ্বায়িত্বে থাকা মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর ধারস্ত হয়ে বিচার না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাকে স্বাশানো হয়েছে। এই প্রতিবেদক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করেন যৌন হয়রানির বিচার কি শুধু শ্বাসানো? তখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেকে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, যৌন হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে নমনীয়তা দেখানো হয়েছে।
এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি । অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে জেনেছি, ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েল ঐ ছাত্রীকে পা দিয়ে স্পর্শ করেন। এবিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন ? প্রতিবেদক এমন প্রশ্ন করলে তিনি কথা শেষ না করেই ফোন কেটে দেন।
ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েল সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, জুয়েল ইতিমধ্যে বহু নারী কেলেংকারীর পাশাপাশি ৩টি বিয়ে করেছেন। জুয়েলের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্ত্রী’গন বিভিন্ন সময় মুক্তাগাছার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জুয়েলকে নির্বিত্ত করতে না পারায় তার স্ত্রী বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছে।
নারী লোভী দোষ চরিত্র মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের ডেমোনেস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের এমন তৎপরতা বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সামাজিক এবং শিক্ষা-অঙ্গনের ভাবমূর্তি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে জানাযায়, শুধু নারী কেলেংকারীতেই সীমাবদ্ধ নয় তিনি। মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত শেখ মুহাম্মাদ আক্তারুজ্জামান জুয়েল অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নিকটাত্মীয়সহ এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবারকে হয়রানি করছে।
অভিযোগ রয়েছে, একজন কম্পিউটার ডেমোনেস্টেটর পদে চাকুরী করলেও মামলার এজাহারে নিজেকে প্রভাষক দাবী করেছেন।
আরো জানাযায়, স্বায়ত্তশাসিত মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ে বছরে ২০দিন ছুটির নিয়ম থাকলেও এতসব মামলার হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘ দিনের। ৫ আগস্টের আগে এসকল তথ্যের জন্য অধ্যক্ষ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র, মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিল্লাল হোসেন সরকারের কাছে গেলে সাংবাদিকদের কোন তথ্য প্রদান করেননি। বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করে তাদের লালিত কম্পিউটার ডিমোনেস্টটরকে রেখেছেন বহাল তবিয়তে।
এবিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিন বলেন, আক্তারুজ্জামান জুয়েল প্রভাষক না, সে যদি এ পরিচয় কোথাও ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আমার কি করার আছে। তবে তাকে প্রভাষক পরিচয় দিতে মৌখিকভাবে না করে দিয়েছি। আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমার ক্ষমতা অর্ধেক, তাই আমি চাইলে সব কিছুর ব্যবস্থা নিতে পারিনা বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য