সব
শেরপুরের ঝিনাইগাতী নবযাত্রা বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ভুক্তভোগী সদস্যরা। এ ঘটনায় কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সেনাক্যাম্প শেরপুর সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৭ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০লক্ষ ৩৬হাজার ৬শত পনের টাকা তসরুপের অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম এর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র। অনুসন্ধানে জানা গেলো অভিযোগকারীরা সাধারণ সদস্যদের বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাতের ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতেই আনা হয় এমন অভিযোগ।
অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, অত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ১নং সদস্য আলহাজ্ব মো. আবু হানিফ ১৯৯৮ সালে অবসরে আসা সকল সেনা, বিজিবি সদস্যদের নিয়ে সমিতিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে সমিতিটি ২০০৮ সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়। যার দিবন্ধন নং-২২০। সমিতিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ভাবেই চলে আসলেও সমস্যা শুরু হয় ২০১৫ সালে পূর্ববর্তী কমিটি সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক সম্পাদক সাজল এবং সাবেক কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হাই পূণরায় দায়িত্ব গ্রহন করলে। সমিতির সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকায় সকল সদস্যের অনুরোধে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে পূণরায় আলহাজ্ব মো. আবু হানিফকে সভাপতি, চাঁন বিডিআরকে কোষাধ্যক্ষ এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিনকে সেক্রেটারি হিসেবে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। তখন ওই কমিটির হস্ত মজুদ ছিলো ২৬৩টাকা। উক্ত কমিটি নিয়ে কয়েক দিন চলার পর বীরমুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন সেক্রেটারী পদে দ্বায়িত্ব পালনে অনিহা প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোঅপ্টের মাধ্যমে সোলাইমানকে সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সোলাইমান দ্বায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন ফাইলপত্র এবং বিভিন্ন রেজিষ্ট্রার যাচাই করে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হস্ত মজুদ রেখে ৪বছর সমিতি পরিচালনা করে। উক্ত সময়ে মিটিং এর মাধ্যমে ৪৯ ধারায় তদন্তমতে ৯লাখ ৭২হাজার ৮২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। উক্ত অভিযোগের উপর তখন সাবেক কমিটি সদস্যগণ আপিল করে। তার পর সর্বসাকুলো তাদের উপর সর্বশেষ রায়ে ৩৬হাজার টাকা সমিতির হিসাবে জমা করার জন্য সময় নির্ধারন করে। এমন সময় ঘটে আরেক ঘটনা। সাবেক কমিটির সম্পাদক শাহ জালাল শাজল সিএনজি কর্তৃক সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা কেঁটে পঙ্গুত্ব বরণ করে। এমন পরিস্থিতিতে তার কাছে পাওনা টাকা নিয়ে কেউ আর কিছু বলেনি। এরপর অনুসন্ধানে ধরা পড়ে তার আরেক অর্থআত্মসাতের ঘটনা। তিনি সমিতির রেজিস্ট্রারে ৫লাখ টাকা এফডিআর দেখিয়ে তার সময় সীমার মধ্যে ২লাখ ১৬হাজার টাকা মুনাফা গ্রহণ করে। কিন্তু সে চলে যাওয়ার পরে তার জমাকৃত এফডিআর এর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এদিকে ১৮/০৩/২০১৮ পর্যন্ত সাবেক কমিটি ১৬লাখ টাকা এফডিআর রেখে যায়। রেখে যাওয়া এফডিআরের টাকার লাভদিতে হয় প্রতি মাসে ৩২হাজার টাকা। সমিতির লাভের উৎস না থাকায় সাধারণ সভা ডেকে কিছু সদস্য হইতে ১০লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। উক্ত টাকা থেকে ৬লাখ ৫০ হাজার টাকা সাবেক কমিটির নেওয়া এফডিআর ফেরত দেওয়া হয়। আর বাকি টাকা দিয়ে সমিতির ঘর বর্ধিত করে আয়ের উৎস তৈরি করা হয়। যা বর্তমানে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় আসে। তবে ২০১৫ সালে সমবায় একটি চিঠিতে জানায়, সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে এফডিআর এর টাকা গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু সমিতিটি টিকানোর স্বার্থে সদস্যদের অনুমতিক্রমে এফডিআর গ্রহণ করা হয়।
এতে সাবেক কমিটির এফডিআর ফেরত এবং আয়ের উৎস তৈরির একটি পথ তৈরী হয়। যাহা অদ্যবধি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ আয় চলমান আছে। ইতিমধ্যে চলমান কমিটির দায়িত্ব শেষ পর্যায়ে চলে আসায় সম্পাদক সোলাইমানের পারিবারিক ও ব্যবসার সমস্যাজনিত কারণে ১৮/০৩/২০১৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন দিতে। এরপর ১০ থেকে ১৫ দিন পর সমিতির অফিসে গিয়ে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব নিতে বলায় সে তখন অফিসের চাবি আমার কাছে রেখে যান। আমি কাগজপত্র দেখে ম্যানেজার আনোয়ারসহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামী দুই একদিনের মধ্যে স্বাক্ষর করে দিচ্ছি। চাবি পাওয়ার পর আমিনুল সাহেব সাবেক সম্পাদক শাহ জালাল শাজল, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হাইকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র এবং সমিতির বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী, রেজিস্ট্রার, টিভি ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাসায় নিয়ে গিয়ে দেখতে থাকে। এর কয়েকদিন পর সম্পাদক সোলাইমান তার দায়িত্ব হস্তান্তর গ্রহণ ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য আমিনুল সাহেবের কাছে গেলে আরও পরে স্বাক্ষর করবে বলে তাল বাহনা করতে থাকে। এর মধ্যে আমিনুল, ইসমাইল, শাহ জালাল শাজল, আব্দুল হাই, অপূর্ব মারাকসহ তার বলে যে, ৪৯ ধারা তদন্ত না করে তারা সমিতিরি চাবি তাদের কাছে রাখবে এবং হস্তান্তর ভাউচারে স্বাক্ষর করবে না। এরিমধ্যে ৪৯ ধারা তদন্ত করে বিভাগীয় সমবায় অফিসার আমাদের কমিটির কাউকে না জানিয়ে তদন্তে একতরফা ভাবে ৫লাখ ৩৩ হাজার টাকা দায় নির্ধারন করে এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং বিভিন্ন মামলার বাদী উক্ত ৪৯ ধারা তদন্তের রিপোর্টে ১লাখ ২০হাজার ৫শত ৮৫ টাকা দায় নির্ধারন করে এবং সর্বশেষে ১১/০২/২০২৩ তারিখে সমিতির সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতা সভাপতি হন। তার নামে এত টাকা দায় থাকার পরেও কিভাবে মামলার বাদী ও সভাপতি হন? এদিকে সদস্যরা কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জানার পর বলি যে, আপনারা যে রায় নির্ধারণ করেছেন আমাদের উপর অবিচার করা হয়েছে।
কেননা শেয়ার, সঞ্চয় হতে টাকা কর্তন করে সমন্বয় করেছি। যারা ঋণ নিয়েছিলো শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকে।সম্মানীভাতা গ্রহণ করেছি যা পূর্বের কমিটিও নিয়েছে। যাহা মর্জিনার নামে ১লাখ টাকা বেশি দেখিয়ে সমন্বয় করে সদস্য মো. ইসমাইলকে ২০ হাজার টাকা, জিএম মোস্তফাকে ১২হাজার টাকা, বনরুকে ১৭হাজার, হামিদকে ১৮হাজার টাকা, আনোয়ার ম্যানেজারকে ২২হাজার টাকা নীহার রঞ্জনকে ১০হাজার টাকা সহ মোট ৯৯হাজার টাকা মোবারক মেম্বারের স্বাক্ষরে পরিশোধ করা হলে আত্মসাৎ হয় কিভাবে? উত্তরে আমিনুল বলে যে, তাহলে সমিতিতে একটি মিটিং ডেকে সকল সদস্যদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে একটা মিমাংসা করা হোক। কিন্তু তার সাবেক কমিটির সদস্যদের প্ররোচনায় পড়ে আর কোন সভা করেনি। এভাবে আরো কিছুদিন চলতে থাকে। মিটিং ডাকার কথা বার বার বলা হলেও তারা মিটিংও ডাকে না এবং হস্তান্তর পত্রেও স্বাক্ষর করে না। অনেক বলা বলির পর বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিরের সহযোগিতায় আমার বাড়িতে (সাবেক সভাপতি মো. আলহাজ্ব আবু হানিফ এর বাড়িতে) একটি প্রীতি ভোজের ব্যবস্থা করে ১৫ থেকে ২০ জন সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যসহ বসে একটি মিটিং করা হয়। ঐ মিটিং একটা স্থিতি পত্র ৩০/০৬/২০১৮ তারিখের জমা খরজ ভাউচার তৈরি করে আনা হয় এবং প্রীতিভোজ শেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে এবং সমিতি পরিচালনা করবে মর্মে ঐ স্থিতি পত্রে অংকে কোন কিছু লেখা ছিল না। তখন তমির বলে যে, হানিফ, সোলাইমান তোমরা স্থিতি পত্রে স্বাক্ষর করে দাও।
তখন আমি ও সোলাইমান বলি যে, এটাতো ব্ল্যাংক স্থিতি পত্র। তমির সাহেব বলে কোন সমস্যা নাই স্বাক্ষর করে দাও এবং আগামীকাল সকলে অফিসে গিয়ে একটি মিটিং করে সকলে মিলেমিশে সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এফডিআর টাকা ফেরত প্রদান করবো। পরের দিন আমি সোলাইমান, চাঁন ভাই ও আরও কয়েকজন নির্ধারিত সময়ে সমিতিতে যাই। গিয়ে দেখি সমিতির অফিসে তালা বন্ধ। মোবাইলে সাবেক কমিটির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে বলে তারিখে পদত্যাগ পত্র জমা করেন। পদত্যাগ পত্র দেওয়ার পূর্বে তিনি একটি অন্তবর্তী কমিটি গঠন করে যে, সমিতিতে আর কোন মিটিং হবে না এবং আমাদের স্বাক্ষরের দরকার ছিল আমরা স্বাক্ষর পেয়েছি।
এর ২ থেকে ৩দিন পর স্থিতি পত্র (জুন-২০১৮) এবং ৪৯ ধারা দায় নির্ধারনসহ সিআর আদালতে আমিনুল সাহেব বাদী হয়ে আমি, সোলাইমান ও চাঁন মিয়াসহ ১৩/১১/২০২২ ইং তারিখে মামলা করে। মামলা নং ৩২২/২০২২ ইং। আমার কমিটির নিকট হতে চাবি নেওয়ার পর অন্তবর্তী কমিটি হিসাবে আমিনুল সাহেব তার সাঙ্গপাঙ্গসহ সমিতিতে প্লান করতে থাকে কিভাবে পূর্ববর্তী কমিটিকে ফাঁসিয়ে অত্র সমিতির সম্পদ নিজের করে নেওয়া যায়। সেই চিন্তায় বিভোর হয়ে যায়। এরি অংশ হিসাবে সমবায় কর্তৃক চিঠিতে ১৬/০৯/২০১৮ ইং তারিখে সভাপতি হন এবং ১৬/০৭/২০১৯ ইং যান। ঐ কমিটিতে চিন্তাহরণ সরকারসহ চার জন সদস্য রাখেন। পদত্যাগ করার পর সমিতির চাবি ঐ চার জন সদস্যের মধ্যে কাউকে না দিয়ে সমিতির ম্যানেজার আনোয়ারকে দিয়ে সরে পরেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিয়মিত সমিতিতে যাওয়া আসা করতেন। পরবর্তীতে চিন্তাহরণ সভাপতি ছিলেন বটে। কিন্তু তিনি চাবি কখনো হাতে পাননি। নামে মাত্র সভাপতি হয়ে ২১/১১/২০১৯ তারিখ একটা মিটিং করে সমবায় কর্তৃক একটা নির্বাচন করেন ১৫/০২/২০২০ ইং তারিখ। উক্ত ১৫/০২/২০২০ তারিখে সভাপতি পদে আব্দুল হামিদ ও সহ সভাপতি পদে ইসমাইল হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।
তারা নির্বাচিত হওয়ার পর ঋণ গ্রহিতাদের কাছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কালেকশন করতে গেলে সাবেক কমিটির সম্পাদক শাহ জালাল শাজল, এবং আব্দুল হাই কোন প্রকার টাকা পয়সা দিতে বাধ্য সৃষ্টি করেন। এমন অবস্থা কিছুদিন চলতে থাকে। হামিদ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু দিনের মধ্যে করোনা মহামারী শুরু হয়। তার পরেও হামিদ ০৫/১২/২০২০ তারিখে ৫৩ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সমিতির অফিস কক্ষে একটি মিটিং করে। এফ ডি আর, ডিপিএস এর টাকা কিভাবে ফেরত দেওয়া যায় এবং যারা ঋণ নিয়েছে তাদের কাছ থেকে কিভাবে ঋণ আদায় করা যায় এই ব্যাপারে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এক পর্যায়ে বেশির ভাগ সদস্যই মত দেন যে, সমিতির জমি বিক্রি করে হলেও এফডিআর ও ডিপিএস এর টাকা ফেরত দেওয়া হোক। এমন পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হলে সভাপতি হামিদ সাহেব এফডিআর ও ডিপিএস এর টাকা পরিশোধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে তার পারের দিন সহ-সভাপতি ইসমাইল, এবং সাবেক সম্পাদক শাহ জালাল শাজল ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হাই বর্তমান কমিটির সম্পাদক অপূব মারাক এবং সাবেক সভাপতি আমিনুল মিলে হামিদ এর উপর শারীরিক ভাবে আক্রমন করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি গালি গালাজ করে তাকে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে রেজুলেশন রেজিস্ট্রারে হাতে লেখে পদত্যাগে বাধ্য করায়। উল্লেখ থাকে যে, সম্পাদক অপূর্ব মারাককে কৌশলে সহ সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়ে হামিদ সাহেবের কমিটি হইতে সম্পাদক শূণ্যতার সৃষ্টি করে। যাতে হামিদ সাহেব আর কোন ভাবেই কাজ করতে না পারে এবং হামিদ সাহেবের কাছ থেকে কৌশলে একটা চেক নিয়ে ১১হাজার টাকার আমিনুল সাহেব বাদী হয়ে একটা মামলা করে।
অথচ হামিদ সাহেবের অত্র সমিতিতে এফডিআর বাবদ ৩ লক্ষ টাকা আমানত রেখেছেন। হামিদ সাহেবের বাড়ি সমিতির অফিস থেকে বেশ দূরে হওয়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকির মধ্যে ভয় ভীতিতে দিনাতিপাত করতেছে। হামিদ সাহেবের প্রতি এমন আচরণের পর ইসমাইল সহ-সভাপতি, বদরুল, পানজিত সাংমা, বাদী হয়ে সাবেক কমিটি সদস্য হানিফ, সোলাইমান ও চাঁনমিয়ার নামে মিথ্যা এফডিআর মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩২৬/২০২৩ এমন পরিস্থিতিতে ইসমাইল বাদী হয়ে গত ১৬/১০/২০১৪ তারিখে হানিফ ও সোলাইমান এর নামে আর একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২৬২/২০২৪ ইং। তারা দায়িত্ব পাননি বলে বেড়ালেও আমাদের তৈরিকৃত আয়ের উৎস থেকে টাকা উঠিয়ে মিথ্যা মামলা হামলায় ব্যস্ত। মিথ্যা মামলা এবং তাদের বর্তমান কমিটি ও সাবেক কমিটির আমিনুল সাহেব,ইসমাইল, অপূর্ব মারাক, শাজল, আব্দুল হাই, আবু সাঈদ এই ছয় জনের আগ্রাসী আচরণ থেকে নিস্তার চেয়ে তাদের কাছে সমিতিতে একটি সভা দেওয়ার জন্য আরজি জানাই। বর্তমান কমিটির কাছে মিটিং এর কথা বললেই তার আরো মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি গত ১৪/০২/২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা সাহেব সহ সমিতির ১০/১২জন সদস্য এবং ঝিনাইগাতী ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন মামলার বাদী আমিনুল সাহেবের বাড়িতে গিয়ে একটা মিটিং করেন। তখন আমিনুল সাহেব স্বীকার করেন যে, হানিফ হাজী, চাঁন বিডিআর তারা এক টাকাও খায়নি। আমি সাবেক কমিটির কো- প্ররোচনায় পরে আমাকে বাদী বানিয়ে মামলা করানো হয়েছে। আমি মামলা প্রত্যাহার চাই। আমি মানুষের মনে অনেক কষ্ট দিয়েছি।
আমি মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। কিন্তু অদ্যবধি মামলা প্রত্যাহার করেনি এবং সমিতিতে মিটিংও ডাকেনি। গত ০৭/০৭/২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আমাদের সমিতিতে মিটিং দেওয়ার জন্য আবেদন করি। তাতেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। ২৮/০৮/২০২৪ তারিখে জেলা সমবায় অফিস বারাবর আবেদন করেও সমিতিতে কোন মিটিং করানো যায়নি। এছাড়াও কিনাইগাতী বণিক সমিতি,উপজেলা সমবায় অফিসে আবেদন করে এবং ঝিনাইগাতী বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমেও বর্তমান কমিটিকে মিটিং ডাকার জন্য বলা হলেও মিটিং করানো সম্ভব হয় নাই। সর্বশেষ গত ২২/০২/২০২৫ তারিখ শ্রীবরদী আর্মি ক্যাম্প হইতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিনাইগাতীর কার্যালয়ে আর্মি আসে, তখন আমরা ১০/১২ জন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য পাশাপাশি সমিতির অন্যান্য সদস্যরা নবযাত্রা বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যাপারে মৌখিক ভাবে অবগত করি।
অবগত হওয়ার পর বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং বিভিন্ন মামলার বাদী আমিনুল সাহেবকে ডেকে এনে পেট্রোল কমান্ডার বলেন যে, আমরা আপনারা সকলেই সেনা সদস্য। সমিতিতে সকল সদস্যদেরকে হাজির করে মিটিং দিলে সমস্যা যত বড়ই হোক আপনি সভাপতি হিসাবে সমাধানতো করতেই পারেন। তো কয় তারিখ কি বার দিবেন বলেন। তখন আমিনুল সাহেব রাজি হয়ে ২৭/০২/২০২৫ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় সমিতির অফিসে সভা করবেন বলে জানিয়ে দেন। অতঃপর পেট্রোল কমান্ডার ঐখানে উপস্থিত সকল সেনা সদস্য এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনিতো একজন সকলের সম্মানীত ব্যক্তি আপনি বৃহস্পতিবার উপস্থিত থেকে সমস্যাটার সমাধান করে দিবেন এবং আমাকে একটু জানাবেন এই বলে টহল কমান্ডার তার টহল দল নিয়ে বিদায় হয়ে যান। তারপর ২৭/০২/২০২৫ তারিখ সভাপতি আমিনুল সাহেব এর দেওয়া সময় অনুযায়ী সমিতির অফিস গৃহের সামনে আমরা সমিতির সদস্য ও বাজারের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ হাজির হই। হাজির হয়ে দেখতে পাই তালাবন্ধ এখনো অফিস খোলে নাই। এমনি ভাবে ১০টা হতে ১১টা পাড় হয়ে ১২টা বাজতে চলে। তবুও অফিস খোলে না।
পরবর্তীতে মোবাইল ও লোকাল ভাবে জানার চেষ্টা করা হয় এমনি ভাবে আরও ২/৩ ঘন্টা পার হয়ে যায়। এর মধ্যে বেশি সংখ্যক সদস্য বলে উঠে যে, আমরাও সমিতির সদস্য। তারা ছয়জনই কি এই সমিতি লিখে নিয়েছে? নাকি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে? তারাতো কারো কোন কথাই মানতেছে না এমনটা চলতে পারে না তাই আনুমানিক বিকাল ৩টার সময় ঝিনাইগাতী ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারসহ ও সমিতির গৃহের সামনে উপস্থিত সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উপস্থিত সকল সদস্যের উপস্থিতিতে আমরা অফিসগৃহের কেচি গেইটের বন্ধ তালার উপর অন্য একটি তালা লাগিয়ে দেই। সমিতির সদস্যদের দাবী সমিতির কার্যালয়ে সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে হিসাব নিকাশ করলেও থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে বলে ধারণা করছে সমিতির সাধারণ সদস্যরা।
মন্তব্য