সব
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভুল তথ্যদিয়ে নামজারি ও জমি জবরদখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। রোববার (৯মার্চ) দুপুরে উপজেলার বৈরাগীপাড়ার তর্কিত জমিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. মঞ্জুরুল হক।
লিখিত বক্তব্যে বায়নাসুত্রে মালিক মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানান,গত প্রায় ১৮ বছর পূর্বে বাদে চল্লিশ কাহনিয়া মৌজার ২৭২৮ নং দাগ থেকে ৭ শতাংশ জমি রেকডিও মালিক আব্দুল হক গংদের কাছ থেকে বায়নাপত্রমূলে ক্রয় করে জমিটা ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়,উক্ত দাগ থেকে ৫ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন শফিউদ্দিন।পরে তিনি এই ৫ শতাংশ ভূমি বিক্রি করেন বৈরাগীপাড়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে মতিউর গংদের কাছে।শফিউদ্দীন মালিক থাকতে কোন প্রকার আপত্তি করেন নাই। কিন্তু একই গ্রামের মতিউর গংরা গোপনে এই ভূমির সাথে আমার দখলীয় জমি,ভুমি অফিসে ভূল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নামজারি করে নেয় তারা। তাদের হীন উদ্দেশ্যে নামজারি করার ফলে, আমি এই জমি সাবকাবলা দলিল করতে পারছি নাই বিধায় উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারি বাতিলের আবেদন করি। যাহা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে ভূমিদস্যুরা মবজাস্টিসের মাধ্যমে উক্ত ভূমি দখল করার পায়তারা লিপ্ত। এছাড়া ভূমিদস্যু পরিবারটি সেনাবাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে আমার ভূমিসহ এলাকার আরো চার-পাঁচ জনের ভূমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়,সেনা প্রধানের নাম ভাঙ্গিয়ে আশ্রাব আলীর ছেলে মাকসুদ ও তার ভাইয়েরা আমার ভূমির মালিককে ভীতি প্রদর্শন সহ এলাকায় নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।সেই প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিজের ক্রয়কৃত জমি রক্ষার্থে আইনগত সহযোগীতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।অপরদিকে এই ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ সহ গণমাধ্যম কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য