সব
চলতি ২০২৪ – ২৫ মৌসুমে ময়মনসিংহ জেলার অভ্যন্তরীণ আমন চাউল সংগ্রহ অভিযানে সরকারি লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলার ১৩ টি উপজেলার ২০ টি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে মোট ৩৬ হাজার ৪শ ১৩ মেট্রিক টন আমন সিদ্ধ চাউল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহন করা হয়।
মিলারদের সঙ্গে পুনঃ বরাদ্দ সহ ৩০ হাজার ৬শ ৫০ মেঃ টনের অধিক সংগ্রহের চুক্তি নিয়ে বিগত ১৭ নভেম্বর ২৪ ইং তারিখ হতে চাল সংগ্রহ অভিযান শূরু করা হয়। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত।
কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারিতে ২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই মাসে জেলায় আমন চাউল ক্রয় করা হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ১শ ৮ দশমিক ৬৫০ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫২.৫৬%। ক্রয় চুক্তির বিপরীতে সংগ্রহের বাকী রয়েছে এখনো ১৪ হাজার ৫শ ৪১ দশমিক ৮৭০ মেট্রিক টন। বাকী এই পরিমাণ চাল আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং পর্যন্ত ২৬ দিনে ক্রয় করার বিষয়ে আশংকার কথা জানিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র।
সুত্রটি আরো জানায়, চাল ক্রয়ে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দেশের সর্বত্র খোলাবাজারে ধান – চালের মুল্যে অনেক বেশি হওয়ায় মিলারগণ লক্ষ্যেমাত্রা ও চুক্তি অনুয়ায়ী চাল সরবরাহ দিতে পারছেন না। উপজেলা পর্যায়ে গুদামগুলোর কর্মকর্তাগণ চাল ক্রয়ে একইরুপ অভিমত প্রকাশ করেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ পর্যন্ত ( ০২|২|২৫ ইং পর্যন্ত) উপজেলা ও গুদাম ওয়ারী আমন চাউল ক্রয় সংগ্রহের হিসাব হচ্ছে ময়মনসিংহ সদর এলএসডিতে ৫৮২.৬৯০ মেট্রিক টন, সিএসডিতে ৬৫৮.৫৩০ মেঃটন, মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ২২৬১.১৯০ মেঃটন, ফুলবাড়িয়ায় ৭৭১.৭২০ মেঃ টন, ত্রিশালের ধানিখোলায় ১১৬.৭০০মেঃটন, ধলায় ৩২০.৩৪০ মেঃ টন, গফরগাঁওে গয়েশপুরে ৫৭৩.৪৫০ মেঃটন, ধলায় ১৪১ মেঃটন, ভালুকায় ১৭২.৭৭০ মেঃটন, নান্দাইলে ৮৮৬.৬২০ মেঃ টন, ঈশ্বরগঞ্জ সদরে ৬৯০.৩৩০ মেঃটন, আঠারবাড়ীতে ৩৬.৯০০মেঃটন, গৌরীপুর সদরে ১৭৫৮.৬৯০ মেঃটন, শ্যামগঞ্জে ২০৭৮. ০৪০ মেঃটন, ফুলপুরে ২১৯৯. ৪৮০ মেঃটন, তারাকান্দায় ১১৯৩.০৪০ মেঃটন, হালুয়াঘাট সদরে ১২৭৭.৭০০ মেঃটন, নাগলায় ৩৬১.৫০০ মেঃটন, ধোবাউরার পোড়াকান্দুুলিয়ায় ৯.৩৩০ মেঃটন ও মুন্সিরহাটে ১৮.৬৩০ মেঃটন।
মন্তব্য