সব
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের নাম-পরিচয় জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে ওই ডাকাতরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হাসান। তিনি বলেন, ডাকাত সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি খেলনা পিস্তল ও ২টি চাকু।
আটককৃতরা ডাকাতরা হলেন- মো. লিয়ন মোল্লা নীরব (২২), মো. আরাফাত (১৬) ও সিফাত (১৬)। তারা তিনজনই কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আলোচনার মাধ্যমে ওই তিন ডাকাতকে আত্মসমর্পণ করানো হয়। পরে তাদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ডাকাতরা ব্যাংকের ৮ জন স্টাফ ও ১০-১২ জন গ্রাহককে জিম্মি করে রেখেছিলেন, তাদের ইতোমধ্যে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংকের ভল্টও সুরক্ষিত আছে।
এ বিষেয়ে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক খলিলুর রহমান হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। ব্যাংকের ভেতরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া অর্থ লোপাটও হয়নি।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুয়িদ জানান, চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ডাকাত প্রবেশ করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাংকে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ব্যাংকের ম্যানেজার শেখর মণ্ডল জানান, ডাকাতরা ব্যাংকে যখন প্রবেশ করে তখন তিনি মার্কেটিংয়ের কাজে বাহিরে ছিলেন। তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতরা ব্যাংকে ঢুকে স্টাফ ও কয়েকজন গ্রাহককে জিম্মি করে। সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। ডাকাতরা যখন বুঝতে পারে তারা আটকা পড়েছে, তখন এক স্টাফের মোবাইল ফোন থেকে তাকে ফোন করা হয়। তারা ১৫ লাখ টাকা ও নিরাপদ প্রস্থান দাবি করে। পরে ওই মোবাইলে দফায় দফায় ডাকাতদের সঙ্গে কথা বলেন এসপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এভাবে কয়েক ঘণ্টা চলার পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তারা আত্মসমর্পণ করে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে আসে।
এদিকে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মঈদ জানান, অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কোনো এক কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে তাদের ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল। এজন্য তারা ব্যাংকে ডাকাতি করতে যায়। বাকি তিন লাখ টাকা দিয়ে আইফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
মন্তব্য