সব
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অন্যের ইনডেক্স ব্যবহার করে বিল উত্তোলন ও অফিস সহকারী খন্দকার মাহবুবুল আলম এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজিবা আক্তার অফিস সহকারী মাহবুবুল আলমের স্ত্রী বলেও জানান এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুবুল আলমের বড় ভাই সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তার ছত্র ছায়ায় থেকে দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সার্বিক আয় ব্যায় নিজে রক্ষনাবেক্ষণ করেন এবং ভাউচার বিহীন হিসাব নিকাশ করে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন দীর্ঘ দিন থেকেই।
ক্ষমতা বেশি থাকায় চাকুরীর ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি শিক্ষকরা। মাহবুবুল আলম জয়নাল আবেদীন বাদল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ বরাদ্দ নেন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ মালেক সরকারের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পর পর ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ নেন।
এছাড়াও সাবেক এমপি মোসলেম উদ্দিনের কাছ থেকে ৯টি প্রকল্প বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করান। অদৃশ্য কারনে বিদ্যালয়ের ভাউন্ডারী ছাড়া তেমন কোন কাজ করেননি। ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করেন অফিস সহকারী মাহবুবুল আলম।
উল্লেখ্য যে মাহবুবুল আলমের বড় ভাই সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে স্ত্রী সাহানা পরভীন ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি ৯ বছর স্কুলে না এসেই সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। পরে এলাকায় জানাজানি হলে তিনি স্কুল থেকে চলে যায়। শাহানাজ পারভীনের আইডি ব্যবহার করে মাহমুবুল আলম এর স্ত্রী নজীবা আক্তার দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধ ভাবে সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
যাহার বিষয়ে এলাকাবাসী বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করেন এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করেছে যা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।
নজিবা আক্তার অবৈধ সহকারী শিক্ষক থেকে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন যা নিয়ম বহির্ভূত। উক্ত বিদ্যালটিকে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এলাকাবাসীসহ সুধিমহল।
বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজিবা আক্তারকে বললে তিনি বলেন আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিছি। ভ’ল আমি করিনি ডিজি করেছেন। আমাকে সকোজ করেছে আমি জবাব দিয়ে দিয়েছি। চাকুরি থাকলে থাকবে না থাকলে নাই।
অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে মাহবুবুল আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা কোন দুর্নীতি করিনি। সাবেক প্রধান শিক্ষক সকল প্রকার দুর্নীতি করে গেছেন। এখন আমাদের উপর অভিযোগ চাপাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলা অফিস থেকে তদন্ত হয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিছু সময় লাগবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না তা আমি দেখিনি। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য