সব
ময়মনসিংহে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনা, সিঁদুর খেলা, নাচ গান, ঢাকঢোলের বাদ্য,আরতি প্রতিযোগিতা আর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো পাঁচদিন ব্যাপী বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রবিবার ( ১৩ অক্টোবর ) ২০২৪ শহরের কাচারি ঘাটে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয় বিজয়া দশমী বিসর্জন মঞ্চ এবং এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ভক্তবৃন্দদের জন্য নির্বিঘ্নে পূজা পালন ও সার্বিক সুবিধা দিতে রাস্তাঘাট মেরামত ও মণ্ডপে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বললেন মোঃ ইউসুফ আলী ( সিও ) ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ।
পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনে সরকারিভাবে রাত ৮ টার সময়সীমা বেধে দেওয়ার ঘোষণা ও সার্বিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সহযোগিতা করেন পুলিশ প্রশাসন,সেনাবাহিনী র্যাব – ১৪ ফায়ার সার্ভিস, আনসার সহ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রবীণ নেতা ওহাব আকন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গোকুল চন্দ্র মানিক সহ অন্যান্যরা, সহযোগিতা করেন ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগরের বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের নেতৃবৃন্দ, আর্য প্রদায়িনী দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা এবং স্বেচ্ছাসেবী সাধারণ ।
এই ঘাটে শহরের ৫৮ টি মন্ডপের প্রতিমা
বিসর্জন দেওয়া হয় জানা যায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি ও সদর উপজেলায় মোট ১২১ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ১১৪ টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে আর ৭টি প্রতিমা পরবর্তী বছরের জন্য রেখে দেয়া হয়। ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজার হাজার মানুষ আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণভাবে ভিড় জমান যেখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন সহ বিদেশি পর্যটদের দেখা মেলে বিকেল চারটা থেকে শুরু করে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে প্রতিমা বিসর্জন। বিজয়া দশমীতে অর্থাৎ শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতার শুরু থেকেই শহরের মন্ডপ গুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিলো বরাবরের মতোই । দিনব্যাপী চলে নানা পূজা- অর্চনা সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় দশমীবিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জন।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন মা দেবী দুর্গা তার এই আগমন ও প্রস্থানের মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিনে শেষ হলো দুর্গাপূজা ।
পূজা উদযাপন কমিটি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার, অ্যাডভোকেট তপন দে, এডভোকেট প্রবীর মজুমদার চন্দন, এডভোকেট প্রশান্ত কুমার দাশ চন্দ্রদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন এবারের পূজা উৎসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়েছে এবারের দুর্গোৎসব। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার সংবাদ পাওয়া যায়নি জানালেন নেতৃবৃন্দ ।
মন্তব্য