সব
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড”-এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের পেনশনের টাকা প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে ২৭ জুন ২০২৪ খ্রি. একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানের শুরুতে এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা সেজে নীলক্ষেতের ব্যানবেইজ বিল্ডিং -এ স্থিত অবসর সুবিধা বোর্ডের দপ্তর প্রাঙ্গণে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। উক্ত দপ্তরে প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করা যাচ্ছে না মর্মে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। অবসর সুবিধা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জনবল সংকট ও ফান্ড সংকটের বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট তুলে ধরেন। সার্বিক বিবেচনায়, ফান্ড সংকট এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের কারণে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হয়রানি/ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
এছাড়াও টিম কর্তৃক বিগত বছরগুলোতে প্রাপ্ত মোট আবেদন, নিষ্পত্তিকৃত সাধারন আবেদন ও বিশেষ বিবেচনায় নিষ্পত্তিকৃত আবেদনের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যথাসময়ে আবেদন করার পর তার কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পান কমপক্ষে ২ বছর পর এবং অবসর সুবিধা (পেনশন) পান কমপক্ষে ৩ বছর পর। তবে বিশেষ বিবেচনায় কেউ কেউ উক্ত সময়ের পূর্বেই পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। কী কী “বিশেষ বিবেচনায়” কোন কোন ধরনের আবেদনকারীকে দ্রুত পেনশন প্রদান করা হয়েছে সেসব রেকর্ডপত্রও সংগ্রহ করে দুদক টিম। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
মন্তব্য