সব
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন দুই উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ভোরে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলে এর যৌথ উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় তারা প্রায় ১৬ টি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংস করা করেন। ড্রেজার মালিকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকুচা,বালিজুরি, খাড়ামুড়া এলাকায় ১৫/১৬ টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে অবৈধভাবে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছিল।এতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে অন্য এক ইজারাকৃত বালু মহলের কাগজ দিয়ে।এভাবে দিনরাত চলছে বালু উত্তোলন।
বালুখেকোদের থাবায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে,প্রতিট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ -৩০ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিদিন ২৫/৩০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হয়। এসব বালু উত্তোলনের বিষয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানও পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এর পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছিলনা। একদিকে চলছে অভিযান অপর দিকে চলছে বালু উত্তোলন।
গত ৭ জুন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট আশরাফুল আলম রাসেল অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করেন।পরে জব্দকৃত বালু ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
উক্ত ওই বালু পরিবহনের অযুহাতে বালুদস্যুরা আবারো বালু উত্তোলনে জড়িয়ে পরে।
এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন,পরিবেশ রক্ষায় জনস্বার্থে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
মন্তব্য