সব
সুত্র জানায়, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুর উলুম বালিয়া মাদরাসা দায়িত্বে যিনি আছেন তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জামাতা একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। মেয়ের জামাতাদের রয়েছে স্পেশাল রুম। আর মুহতামিমের দ্বায়িত্ব পালন করা মাওলানা ওয়াইজ উদ্দিনের রয়েছে, হজ্ব কাফেলার রুম ও প্রিন্সিপাল হিসেবে অফিস রুমও। মাদ্রাসার কম্পাউন্ডে সরকারী অনুদানে নির্মিত ভবনে খুলে বসেছেন কতিথ ক্যাডেট শাখা। এখানকার আয় ব্যয় তিনি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করেন। এছাড়াও কমিটির কতিপয় ব্যক্তি ও মাদরাসার মুহতামিম বিদেশী ও দেশী ধর্মভীরু মানুষের এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য লাখ লাখ টাকা লুটেপুটে খেয়ে থাকেন। যে কারনে কমিটির প্রভাবশালীরা মুহতামিমের বিপক্ষে যেতে রাজী নয় বলে এলাকাবাসী জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, যে মাদরাসায় ২ হাজার, আড়াই হাজার কখনো ৩/৪ হাজার ছাত্র থাকতো। এখন আছে মাত্র ৪/৫ শো জন। তারাও উপস্থিত থাকেনা। সারা এলাকার সাধারন মানুষ মুহতামিম ওয়াইজ উদ্দিনের বিরোধীতা করলেও কমিটি তাকে অব্যহতি কিংবা বহিস্কার করতে নারাজ! এই ওয়াইজ উদ্দিনের কারনে মাদরাসায় ও মসজিদের ভিতরে মারামারি হয়। ধর্ম নিয়ে যদি এক সময় বৃহত আকার ধারন করে, তাহলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? এখন এলাকায় প্রচার করছে আগামী শুক্রবার পুলিশ এসে ওয়াইজ উদ্দিনকে মিম্বারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবে। আর ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছেন, এটা তাদের দায়িত্ব নয়। আইন শৃংখলার অবনতি হলে তারা পরিস্থিতির মোকাবেলা করবেন। করবেন আইনের প্রয়োগ।
সুত্র আরো জানায়, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুর উলুম বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম ওয়াইজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হজ্ব কাফেলার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে মামলাও। এসকল বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
মন্তব্য