সব
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে পুণরায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট।। তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়েছেন।
শনিবার (৯মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এর ১২৮ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফলাফল জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ইকরামুল হক টিটু (ঘড়ি)১,৩৯,৬০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও মসিকের ময়র পদের প্রার্থী ১২৮ কেন্দ্রে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু হাতি ৩৫৭৬৩, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ঘোড়া -১০,৭৪৩, রেজাউল হক পেয়েছেন ১,৪৮৭ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীকে শহীদুল ইসলাম স্বপন ১,৩২১ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩ ওয়ার্ডের ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০ বুথে দেড় হাজার ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য ছিলেন।
সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) এবং ১১ জন বিচারিক হাকিম (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব পালন করছেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন নয়জন।
নির্বাচনী পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারের সংখ্যা। ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ।
প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড ব্যাতিত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছেে। তাদের উপস্থিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করেছে। মূলত মেয়র পদে নির্বাচন ঘিরেই তাদের মাঝে বাড়তি উৎসাহ যোগ করছে।
মসিক মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রার্থী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ থেকে ৬ জন। সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী ছিলেন ৩টি ওয়ার্ডে। ফলে ময়মনসিংহে ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল বলে মনে করছেন জনসাধারণ। নির্বাচনে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা ছিল প্রসংশনীয়।
মন্তব্য