সব
আগামী ৯ মার্চ ইভিএম এর মধ্যমে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এর ভোট গ্রহনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইসি। শীঘ্রই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন বলেও সোমবার (২২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সাথে সাথে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন একাধিক প্রার্থী।
পাশাপাশি ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ভাবে প্রচার-প্রচারণা সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশা করে ছুটে চলেছেন যার তারমত করে। বর্তমান কাউন্সিলরদের মাঝে যারা প্রার্থী তাঁরাও বিভিন্ন উন্নয়ন ও ন্যায় নীতিতে নিজেদের জানান দিয়ে পুনরায় সমর্থন চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনগণের সাথে সখ্যতা যোগাযোগ ও পুনরায় নির্বাচিত হতে বিভিন্নভাবে জানান দিচ্ছেন।
ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এর ৩৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মুহাম্মদ শাহজাহান মুনির জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে সেবার মানের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে জনগণের সেবা করে যেতে চান বলে তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি স্যাটাস লিখেছেন। তিন যা পারেন আর যেগুলো পারেন না সেগুলোও ঐ ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত করে সেবা করার সুজুগ চেয়ে যা লিখেছেন তা “৭৫ বাংলাদেশ” পত্রিকার পাঠকদের জন্য হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো।
মসিক ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ শাহজাহান মুনিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস…
বিগত দিন গুলোতে আমি আমার সাধ্য মতো নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত রেখেছি, ভবিষ্যতেও রাখবো ইনশাআল্লাহ! হতে পারে সেটা ব্যক্তিগত ভাবে কিংবা আপনাদের দ্বারা অর্পিত/মনোনিত/নির্বাচিত, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে। মানুষের ক্ষুদ্র জীবনের পরিধির যেমন সীমাবদ্ধতা থাকে ঠিক তেমনই জনসাধারণের সেবা করার সামর্থের আমারও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিলো। আমার সামর্থ অনুযায়ী আমি চেষ্ঠা চালিয়ে গেছি। কাজ করতে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিই কিছু না কিছু ভুল করে থাকে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে দেখার বিষয় হচ্ছে কে কি পরিমান ভালো-মন্দ কাজ করেছে। আমি আপনাদের পবিত্র ভোটে নির্বাচিত হয়ে যথাসাধ্য চেষ্ঠা করেছি এর পবিত্রতা রক্ষার্থে। তবে অনেকের দৃষ্টিতে আমি আপনাদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি নি, আমার দৃষ্টিতে আমি মনে করি, হ্যা! আমি ইচ্ছা করলেই আপনাদের দেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে পারতাম। এতে আপনাদের পবিত্র ভোটের পবিত্রতা বজায় থাকতো না। আসলে আমি অনেক কিছুই করতে পারি না, যা আমি নিজেও স্বীকার করি।
আজকে সেগুলো নিচে উল্লেখ করলাম-
১. আমি কখনই নিজেকে অন্যায়ের কাছে বিক্রি করতে পারি না।
২. কাউকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে আবার ছাড়ানোর জন্য পুলিশের নাম করে টাকা নিতে পারি না।
৩. মাদক দ্রব্য বিক্রির উদ্দেশ্যে যুব সমাজকে মাদক সেবন করা শেখাতে পারি না।
৪. বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাম করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাদা আদায় করতে পারি না।
৫. আধিপত্ত বিস্তার করার জন্য যুব সমাজকে নিয়ে কোনো গ্রুপ করতে পারি না।
৬. জোরপূর্বক ভাবে কারও জমি দখল করতে পারি না।
৭. জমির দালালি করতে পারি না।
৮. কাউকে মামলা করা কথা বলে নিঃস করতে পারি না।
৯. সন্ধ্যার পর জোয়া খেলার আসর জমাতে পারি না।
১০. সন্ধ্যার পর কোনো নেশার আড্ডা বসাতে পারি না।
১১. দরবার করতে গেলে ঘুষও নিতে পারি না।
১২. প্রতিপক্ষ দলকে আমি শত্রু মনে করতে পারি না।
১৩. কারও নামে দুর্নাম করতে পারি না।
১৪. চাকরি দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে টাকা নিতে পারি না।
১৫. আমার নাম ভাঙিয়ে কাউকে অন্যায় ভাবে অর্থ উপার্জনে সাহায্য করতে পারি না।
১৬. নেশা গ্রস্থ ব্যক্তিকে পুলিশে ধরলে সুপারম্যান হয় উড়ে গিয়ে ছাড়াতে পারি না।
১৭. বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা গুলো সমাধান হিসেবে ডিভোর্সের নামে মেয়ে পক্ষের কাবিনের টাকায় ভাগ বসাতে পারি না।
১৮. বহিরাগত কিংবা স্থানীয় বাসিন্দাদের নতুন বিল্ডিং নির্মাণের সময় তাদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার টাকা আদায় করতে পারি না।
১৯. ব্যক্তিগত শত্রুতা জিরিয়ে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করতে পারি না।
২০. এলাকার অটোরাইস মিলসহ অন্যান্য কলকারখানা গুলোকে পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার সময় মোটা অংকের টাকা নিতে পারি না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এগুলো আমি কোনো দিন আর পারবোও না। শুধু জনসাধারনের সেবা দিতে পারি এই একটাই আমার গুণ আছে। এটা নিয়েই সামনের পথ গুলো হাটতে চাই। পাশাপাশি দরকার আপনাদের দোয়া ও সমর্থন। দেখা হবে বিজয়ে। ইনশাআল্লাহ!
—স্কীন শর্ট—
মন্তব্য