ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড়, দুর্গাবাড়ী, ট্রাঙ্ক পট্টি রোড, চরপাড়া সড়কের দুই পাশের জায়গা দখল করে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভাসমান দোকানিরা। ফলে সড়কে গাড়ি ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সড়কে বাজার বসাতে সিটি করপোরেশন কিংবা সরকারের কোনো সংস্থা ইজারা কিংবা অনুমোদন দেয়নি। তারপরও সড়ক দখল করে বাজার বসানো হয়েছে। সেই রোড গুলোতে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ দোকান। পুলিশ-সাংবাদিকসহ বিভিন্ন নামে এসব দোকান থেকে প্রতিদিন বিপুল অর্থ আদায় করছে একটি চক্র।
সড়ক এবং দুই পাশের ফুটপাতের বেশির ভাগ জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে এসব দোকান। এতে প্রতিদিন সড়কে জ্যাম সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। একই সঙ্গে পথচারীরা পার হতে গিয়ে পড়ছে বিড়ম্বনায়।
নগরীর সচেতন মহল বলছে, আইন শৃঙ্খলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ফুটপাত, রাস্তায় হকার সরাতে চলছে নাটকীয় অভিযান। এতেই জনসাধারণের মনে কিছুটা সস্থি ফিরে এলেও অভিযানের ৩০মিনিটের মধ্যে পুনরায় ফুটপাত ও রাস্তা চলে যাচ্ছে হকারদের দখলে। এ যেন “চোর পুলিশ খেলা”।
দরিদ্র হকার শ্রেণীর ব্যাবসায়ী আছে বলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিম্ন শ্রেণী, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের লোকজন বিভিন্ন পন্য ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, একারনেই বিভিন্ন মার্কেটের শো-রুম থেকে ফুটপাতে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এসকল হকার জনগোষ্ঠীকে জীবিকা নির্বাহের জন্য পুর্নবাসন জরুরি। অপরদিকে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও জরুরি।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের উদ্যােগী ভুমিকাই পারে পুর্নবাসনের স্থানসহ নগরীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।