ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বিরাশি গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে শামীম হক (১৬) নামে এক রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গলা টিপে হত্যা করে তার রিকশা ছিনতাই করে নেয় দূর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে গলায় জুতার ফিতা প্যাচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে মুক্তাগাছার তারাটি চরপাড়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে। সে একই গ্রামের একটি দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করত।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে শামীম হক। সে একই এলাকার শামছুল হুদা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করত। তার বাবা একজন বৃদ্ধ দিনমজুর। সংসার চালাতে তার বাবার হিমশিম খেতে হত। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শামীম হক চালাত ভাড়ায় রিকশা। এই টাকা দিয়ে তার লেখাপড়ার খরচ ও বাবার সংসারে সহযোগিতা করত। শুক্রবার ছিল মাদ্রাসা বন্ধের দিন, তাই সকাল সকাল রিকশা নিয়ে বের হয় সে। বিকেলে তার বাবাকে ফোনে জানায়, তার বোনের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামে যাবে সে। তবে রাতেই বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু ছিনতাইকারীরা তাকে আর বাড়িতে ফিরতে দিল না। সে ফিরল লাশ হয়ে। গলা টিপে হত্যা করে তার রিকশা ছিনতাই করে নেয় দূর্বৃত্তরা। শরিবার সকালে তার লাশ পাওয়া গেছে মুক্তাগাছার বিরাশি গ্রামের নিলার বাজার সংলগ্ন একটি ধান ক্ষেতে।
তার বৃদ্ধ বাবা সিরাজ আলীর ভাষ্য, তার ছেলের অনেক স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া করে সংসারের হাল ধরার। লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে তার কষ্ট হত। এ কারনেই মাদ্রাসা বন্ধ হলে, সে ভাড়ায় রিকশা চালাত। ওই টাকা দিয়ে সে এবার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। আর কিছু টাকা তাকে দিয়েছে সংসারের খরচ জোগাতে। কিন্তু দূর্বৃত্তরা তাকে আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিল না। সে তার ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার পরির্দশক (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, গলায় কেস জুতার ফিতা প্যাচানো অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি তদন্তে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলে জানান তিনি।