ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক সংযোগ থেকে প্রকাশ্যে অবাধে চলছে অবৈধ পার্শ্ব সংযোগ।
অসংখ্য গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিটার রিডারের কাছে ১০০/২০০ টাকা ধরিয়ে দিলেই মিটার রিডার অভিযোগ রিপোর্ট অফিসে প্রদান করে না। কোন গ্রাহক অভিযোগ করলেও মিটার রিডার অফিসকে উল্টা রিপোর্ট দেয়। মটর থেকে সবজি ক্ষেতে পানি দেয়, কোন পাশ সংযোগ নেই। অথচ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐ সব অভিযুক্ত গ্রাহকের কোন সবজি ক্ষেতই নাই।
জানা যায়, আবাসিক মিটার থেকে সেচ বা ফিশারির জন্য মটর ব্যবহার এবং অটো চার্জ আইনগত নিষিদ্ধ। এরপরও অবাধে চলছে। মিটার থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার ফিট দূরে অবৈধ পার্শ্ব সংযোগ দিয়ে চালাচ্ছে শত শত ফিশারীর মটর, লাইটিং এবং অটো চার্জ। নেই কোন বৈধ সেচ বা শিল্প মিটার। সন্ধ্যার পর অধিকাংশ আবাসিক মিটার থেকে চালাচ্ছে চুরাই বিদ্যুৎ। আর এই সব বেআইনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে নেই কোন তদারকি, নেই কোন আইনি পদক্ষেপ। মুক্তাগাছা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যেন নিশ্চুপ।
অভিযোগ নাম্বারে ফোন দিলে কখনোই ফোনে পাওয়া যায়না। ফোন বিজি দেখায়। এটাও পল্লী বিদ্যুতের ইচ্ছাকৃত কারসাজি বলে গ্রাহকরা জানায়। তারা আরও জানান, যদি গ্রাহক সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ নাম্বারও একাধিক হওয়া জরুরী বলে গ্রাহকরা মনে করে।
সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কুমারগাতা নামাপাড়ার গ্রাহক মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলামের আবাসিক মিটার থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার ফুট দূরে মটর ব্যবহার ও অটো চার্জ এর পার্শ্ব সংযোগ সংক্রান্তে একজন সচেতন গ্রাহক সরাসরি জি.এমকে ফোন দিলে সন্ধ্যার পর লাইনম্যানকে সত্যতা যাচায়ের জন্য পাঠায়। লাইনম্যান ফিল্ডে সত্যতা পাওয়ার পরও অদ্যাবধি উক্ত মিটারে পার্শ্ব সংযোগ চলছে কিন্তু জি.এম কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সমিতি অবগত থাকার পরও প্রকাশ্যে বিদ্যুতের এসব বেআইনি পার্শ্ব সংযোগ সচেতন গ্রাহকদের করছে হতাশ, হচ্ছে বিদ্যুতের অপচয়, সরকার ঠকছে রাজস্ব আয় থেকে। সচেতন গ্রাহকেরা এর প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ চায়।
এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি.এম বলেন, কুমারগাতা এলাকা থেকে এক ভদ্রলোক আমাকে ফোন করেছিল এবং পার্শ্ব সংযোগর মাধ্যমে কেউ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করেন। আমি তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বাকিটা বলতে পারব।