ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যুবলীগকর্মী আসাদ হত্যার ঘটনায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেনকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আসাদের প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নির্দোষ নিরীহ ব্যক্তিদের মামলায় হয়রানি বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে মেয়র বিল্লাল হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাইসহ একটি কুচক্রিমহল সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে গত ৩১ আগস্ট ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
এমনকি মুক্তাগাছার সড়ক অবরোধ করে আমাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান, সমাবেশ ও অশালীন মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে আসছে। যা সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুখজনক।
তিনি দাবি করেন, গত ২৮ আগস্ট ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি ময়মনসিংহ নগরীর নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে তার অসুস্থ বড় মেয়েকে দেখতে যান। ওই সময় মামলার এজাহারে এক নম্বর আসামি তার জামাতা মাহবুবুল আলম মনিসহ আরো তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে বিদ্যামান বলেও জানান তিনি।
এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নির্দোষ নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধের দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুল হক ও সিদ্দিকুজ্জামান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মফিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর শহরের আটানিবাজারে চায়ের দোকানে চা পান করার সময় সশস্ত্র যুবকরা যুবলীগকর্মী আসাদুজ্জামান আসাদকে (৩২) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম শহীদ, নাহিদ হাসান রাজিব ও সামিউল ইসলাম খোকন নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।