কক্সবাজার টেকনাফের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ ‘ছলে বাহিনীর’ প্রধান হাফিজুর রহমান প্রকাশ ওরফে ছলে ও তার সহযোগী সোহেলসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
ছলে টেকনাফের দুর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (৫ মে) রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে র্যাবের একটি দল গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সমেমলন করে জানানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাব ১৫-এর মিডিয়া সেল।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ছলে উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ৬ টির বেশি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ থানা পুলিশের তথ্য বলছে, গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩ জন। এসব ঘটনায় ২৩ জনকে অপহরণে তথ্য এলেও প্রকৃত তথ্য ভিন্ন।
এলাকাবাসীর দাবি, গত ৭ মাসে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় ৬০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা শিশু ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৪ দিন পর গত শনিবার মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া সর্বশেষ গত সোমবার ২ জনসহ মোট ২০ জন মুক্তিপণ ছাড়া ফিরলেও অন্যান্যরা মুক্তিপণে ফিরেছেন।
টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ সালমান, ছলে, আবু আলা ও নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যরা জড়িত বলে জানায় র্যাব।
টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম জানিয়েছেন, ‘ছলে বাহিনীর’ প্রধান হাফিজুর রহমান প্রকাশ ওরফে ছলের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে।