প্রকাশের সময়: সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ । ২:২৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ময়মনসিংহে ভাবখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ!

রাকিবুল হাসান আহাদ, চীফ ক্রাইম রিপোর্টার।।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাবখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

১২নং ভাবখালী  ইউনিয়নের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপিসহ এমন কোন প্রকল্প নেই যার বরাদ্দের অর্থ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হরিলুট হয়নি, এমন আলোচনা ও সমালোচনা চলছে ইউনিয়নটির সর্বমহলে। অথচ এলাকার রাস্তা-ঘাটের করুণ বেহাল পরিণতি। সড়ক সংস্কার না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন এমনই অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেলের বিরুদ্ধে।

ভাবখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের  বরাদ্দের টাকায় সড়ক সংস্কার না করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেল। এমন অভিযোগ প্রতিটি  গ্রামের বাসিন্দাদের।সম্প্রতি টিসিবির পণ্য বিতরণেও রয়েছে পাহাড়সম অভিযোগ। সাধারণ মানুষ টিসিবি পণ্য পায়নি, পেয়েছে স্থানীয় খায়রুল, আমিনুল, শাহাদাতসহ চেয়ারম্যানের লালন করা বাহিনীর সদস্যরা।

সুত্র জানিয়েছে আব্দুস ছাত্তার সোহেল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধির সেবা কি জিনিস মানুষ তা ভূলেই গেছে।।যেখানে একটা প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহে শুধু চেয়ারম্যানের একটা স্বাক্ষর নিতেও মানুষকে দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় দৌড়ঝাপ করতে হয়, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর যেন সোনার হরিণ। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে ইউনিয়নবাসী। গত তিন বছরে  চেয়ারম্যানের দ্বারা  কোনো সুফল পাননি তারা। এমন অভিযোগ পুরো ইউনিয়ন জুড়ে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় কোন কাজ হয়েছে কিনা তা করো জানা নেই। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কোনো কাজ করেননি তিনি।  নামমাত্র প্রকল্প দেখিয়ে হরিলুট করার অভিয়োগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভাবখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে চলেছেন। জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভিজিডি কার্ডের বিপরীতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা গ্রহন, মা ও শিশু সুরক্ষা ভাতার কার্ড বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ আদায়, খেয়া ঘাটের অর্থ ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাত, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে অধিকাংশ ভূয়া শ্রমিক দেখিয়ে তাদের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ  রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তা ১% প্রকল্প দেখিয়েছে ৪ বার। সিবিএমসিবি হাসপাতালের টেক্স, আলফালার টেক্স, বাজার খাত, রাজস্ব খাতের অর্থ,  ব্র্যাক অফিসের টেক্স, তেলের পাম্প রোশন ফিলিংয়ের টেক্স, ইটভাটার টেক্স লক্ষাধিক টাকা প্রতি বছর  আদায় করে  ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কোন কাজ না করে শুধু বিল  ভাউচার দেখিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

এছাড়াও ভাবখালী কাচারী বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট থেকে প্রায দেড় লাখ টাকা প্রতিবছর আদায় করে নেয়। এলজিএসপি কাজ দেখায় সব পুরানো কাজ,  সব ভুয়া ভাউচার করে, যতসব কার্ড বিক্রি করায় বড়বিলার পার হেলাল ও মালেককে দিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে যাবে, হতদরিদ্র কর্মসূচির ভুয়া লেভার এর নামে সিম উঠিয়ে সম্পূর্ন বরাদ্ধ আত্মসাত করে প্রত্যেক মেম্বারকে ৮৫ হাজার টাকা দিয়েছে মেম্বারদের জবানবন্ধি থেকে জানা গেছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের একাধিক শ্রমিকরা জানায়  এ ইউনিয়নে ৪৪লাখ টাকা বরাদ্দের কোন কাজ করা হয়নি। শ্রমিকদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে আত্মসাত করেছে। যার ফলে সকল শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক এর কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সাংবাদিকের মাধ্যমে দেখেছি। এগুলো অভিযোগ দিছে আমার জানামতে এরকম হয়নি।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যা, আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা এ অভিযোগ করিয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল, প্রধান সম্পাদকঃ শিবলী সাদিক খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ জহির রায়হান,  বার্তাকক্ষঃ 75bdnews@gmail.com

প্রিন্ট করুন