রাঙামাটি রাজবন বিহারে দু’দিনব্যাপী ৪৯তম দানোৎত্তম কঠিন চীবর দান বেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে রাজবন বিহারে প্রধান অতিথি থেকে বেইন ঘরের উদ্বোধন করেন- চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায় এবং চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন।
এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীসহ রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের
নেতৃবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।
দু’দিনব্যাপী ৪৯তম কঠিন চীবর দান উৎসবে লাখো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করছে। এই উৎসবকে ঘিরে দুইদিন ধরে রাঙামাটি
শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব হলেও পুরো আয়োজনটি পরিণত হয় পার্বত্যবাসীর মিলন মেলায়।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা এ উৎসবেকে কেন্দ্র করে বিহার এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্রসহ নানা সামগ্রীর দোকান পসরা সাজিয়ে মেলা বসেছে।
আজ শুক্রবার অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি দান এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরী পূণ্যার্থীদের কঠিন চীবর দান উৎসর্গের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে মাসব্যাপী শুরু হওয়া দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
রাঙামাটি রাজবন বিহারে ১৯৭৭ সালে এক স্বর্গীয় অনুভূতিতে বনভান্তে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এর আগে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বৌদ্ধ বিহারের ১৯৭৩ সালে এই কঠিন চীবর দান করা হয়।
রাঙামাটি রাজবন বিহারে ৪৬ বছর ধরে
এ নিয়মে কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।