বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাঁর জন্য নির্ধারিত তিনটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশন জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণার কোনো আইনি প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই এসব আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আইনি মারপ্যাঁচে ‘বৈধ প্রার্থী’ ও তফসিলগণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যদি কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হয়, তবেই সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণার বিধান রয়েছে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান মাছউদ জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ আইনিভাবে ‘বৈধ প্রার্থী’ হন না। বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পরেই কেবল প্রার্থী চূড়ান্ত হয়। যেহেতু বাছাইয়ের আগেই বেগম জিয়া মারা গেছেন, তাই কারিগরিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’র স্বীকৃতি পাননি। ফলে তাঁর মনোনয়নপত্রটি এখন স্থগিত হিসেবে গণ্য হবে।
বিএনপির ‘বিকল্প প্রার্থী’ কৌশল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন অর্থাৎ গত সোমবারই বিএনপি কৌশলগত কারণে বেগম জিয়ার তিনটি আসনেই একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’র নাম জমা দিয়েছিল। বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে বিএনপির সেই ছায়া প্রার্থীরা সঠিক সময়েই নিজেদের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ভাষ্যমতে, প্রতীক বরাদ্দের আগে বিএনপি হাইকমান্ড যাঁর নাম চূড়ান্ত করে চিঠি দেবে, তিনিই ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন। ফলে কোনো আসনেই ভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পূর্বনির্ধারিত সূচিতেই ভোটনির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, বেগম জিয়ার প্রয়াণ অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও তা নির্বাচনী সময়সূচিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। নির্দিষ্ট দিনেই মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রত্যাহারের সময়সীমা এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন বেগম জিয়ার আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন এবং ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাবেন।

৭৫ বাংলাদেশ ডেস্ক।।