আলোচনা সভা, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর ১৭৩ তম জন্মতিথি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিনব্যাপি কুল্লাগড়া শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম ও স্বামী বিবেকানন্দ অনাথ আশ্রমের আয়োজনে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে আশ্রম মিলনায়তনে রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে, সাংবাদিক ধনেশ পত্রনবীশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, স্বামী কাশিকানন্দ মহারাজ। এ সময় শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর জীবনাদর্শ নিয়ে অন্যদের মাঝে আলোচনা করেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র পন্ডিত, বাবু স্বপন সান্যাল, শ্রী শ্রী দশভুজা মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু ধীরেশ পত্রনবীশ, সাবেক পৌর কমিশনার দিলীপ সাহা, আশ্রমের সদস্য মিন্টু সাহা প্রমুখ।
আলোচকগণ বলেন, অত্যন্ত সহজ ভাবে জীবনের কঠিন সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন মা সারদা দেবী। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ একজন গ্রাম্য মহিলা প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া যে ভাবে গভীর দর্শনের কথা বলে গেছেন, তা সত্যিই বিষ্ময়ের উদ্রেক করে। তিনি নিজেকে সবার মা বলে মনে করতেন। সমগ্র জীবন ধরে সন্তানদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার সাধনায় ব্রতী ছিলেন তিনি। সহজ সরল ভাষায় ভগবত তত্ত্বের প্রচার করেছিলেন সারদা মা। জীবনে কোন পথে, কী ভাবে চলতে হবে তাও শিখিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনসঙ্গিনী সারদা দেবী ছিলেন নিজগুণে অনন্যা। তাঁর মধ্যে সাক্ষাত মা লক্ষ্মীর বাস ছিল বলে মনে করতেন অনেকেই। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভক্তদের কাছে তিনি শুধু শ্রী শ্রী মা নামেই চির উজ্জ্বল। কারণ তিনি উঁচু নীচু ভেদাভেদ ভুলে সবার কাছে সর্ব অর্থে নিজেকে মা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর কিছু অমর বাণীর মধ্যে তাঁর অমূল্য জীবনদর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়। আজও আমাদের মনে ভরসা জাগায় সারদা মায়ের এই সব বাণী গুলো। সকলকে মায়ের নির্দেশনা মোতাবেক জীবন গঠন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মায়ের জীবনাদর্শ তুলে ধরার জন্য আহবান জানানো হয়।

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি।।