নেত্রকোনার জেলার দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিনামূল্যে প্রণোদনার
ফ্লাড রিকন্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সোলার সেচ পাম্প প্রকল্পের এক গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে কৃষি অফিসার মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মো. আলাল মিয়া (৩৮)। ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যদের প্রতিনিধি দল। গত রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ওই তদন্ত টিম উপজেলা কৃষি অফিসের কার্যালয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য ও সার্পোটিং।
কাগজপত্রাদি বুঝে নেন। ঘুষ কান্ডের ঘটনায় কৃষি অফিসার রায়হানুল হকের বিচার চান ভুক্তভোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ড. সালমা লাইজুর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীর আপন ফুফাতো হাসান আলী। ওই অভিযোগেরই প্রেক্ষিতে ঘটনার সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি টিম। উপজেলা কৃষি অফিসার ছিলেন নিপা বিশ্বাস। তিনি ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. রায়হানুল হক (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পান। ‘তিনি দায়িত্ব পেয়েই নানামূখি চাপে রাখেন ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের। কেউ অবাধ্য হলেই রোষানলে পড়তে হয়।
কোন কারণ ছাড়াই জনস্বার্থে বদলী সহ অবমুক্ত (স্ট্যান্ডরিলিজ) কাকৈরগড়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রিয়াজ উদ্দিন ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিনকে বদলী (স্ট্যান্ডরিলিজ) করেন। আর অনিয়ম-দূর্নীতির এক রাজ্যে পরিণত কর করছেন কৃষি অফিসকে। অভিযোগ দাখিলকারী হাসান আলী ভুক্তভোগী কৃষক আলাল মিয়ার আপন ফুফাতো ভাই।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, আলাল মিয়া একজন পুরোদস্তর কৃষক। তিনি এক প্রতিবেশীর সুপারিশের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিনামূল্যে সোলার সেচ পাম্প একটি প্রকল্পের আওতাভুক্ত হন। উপজেলা কৃষি অফিসের চন্ডিগর ইউনিয়নের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন পরিদর্শন করে জায়গা নির্ধারণ করে দেন। পরে ওই গ্রাহকের জায়গায় সোলার সেচ পাম্প প্রজেক্টের কাজ শুরু করেন শেরফা পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কন্ট্রাকশন নির্মাণ কাজ প্রায় বেশির ভাগ
সম্পন্ন হয়েছে। এরই মাঝে নানা অযুহাতে ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার রায়হানুল হক ১লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়ে বসেন কৃষকের ভাই হাসানের মাধ্যমে। অত্যন্ত কৌশলি ভূমিকায় কৃষি অফিসার রায়হানুল হক তিন ধাপে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক, পূর্বধলা শাখার নিজস্ব (৩৫১৪৭০১০০০১৮১) একাউন্টে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন এমন একটি স্টেটমেন্ট রয়েছে ভুক্তভোগীর হাতে। আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে থাকেন তিনি। ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে না পারায় নিরুপায় হয়ে হাসান লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এছাড়াও নিজের বরাদ্দক সরকারী মোটরসাইকেল মেট্রো ম্যাক্স গাড়িটি কষি অফিসারের মূল পালনকালে একজন বহিরাগত ব্যক্তিকে দিয়ে রাখেন তিন মার্চ ২০
উপজেলা বেশক’জন ডিলারদের কাছ থেকে দুর্গাপুর উপজেলায় তোলা নিজস্ব মাদ্রাসা প্রতিস্টানে দানের কথা বলে অসংখ্য টাকা নেয়ার এমন তথ্য অনুসন্ধ্যানে একাধিক পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ও অভিযোগকারী হাসান আলীর দাবী, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় লক্ষাধিক টাকা ঘুষ গ্রহণ তদন্ত করে জড়িত উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ সম্পন্ন করার দাবিও জানান তারা।
তদন্ত কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কে বলেন, সোলার সেচ পাম্প উন্নয়ন ফেচিয়া প্রকল্পটিতে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় তিন সদস্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। আমরা তদন্ত কাজ চলমান রেখেছি। এ বিষয়ে আরো পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ময়মনসিংহ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ‘ড.সালমা লাইজু গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে ১লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ ।।