মেট্রোরেলে র্যাপিড পাস এবং এমআরটি পাস কার্ডে অনলাইন রিচার্জ কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উদ্বোধন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন সুবিধা যাত্রীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করছি। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। শুধু ভিশন থাকা যথেষ্ট নয়; তা বাস্তবায়নের জন্য মানসিক দৃঢ়তা ও ধৈর্য প্রয়োজন। এখানে আমরা নতুন একটি প্রযুক্তি চালু করছি, যা জনগণের স্বার্থে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে আরও সহজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সারা বিশ্বে আছে, তবে উন্নত দেশগুলিতেও আমরা যে সুবিধা আজ উন্মোচন করলাম তা আন্তর্জাতিক মানের। বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি ব্যবহারে জনগণের সুবিধার জন্য এক ধাপ এগিয়ে গেছে। আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থায় উন্নত সল্যুশন বাস্তবায়ন করেছি। আজকের এই অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম আন্তর্জাতিক স্তরের সিকিউরিটি এবং প্রোটোকল অনুযায়ী তৈরি। প্রযুক্তিটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্থানীয় ট্যালেন্টের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা দেশের প্রযুক্তি সক্ষমতার প্রমাণ।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রতিদিন মেট্রোরেলে প্রায় তিন লাখ, কিছু ক্ষেত্রে চার লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। এই সেবার মাধ্যমে আমরা তাদের জন্য আরও সুবিধাজনক, নিরাপদ এবং দ্রুত পরিষেবা নিশ্চিত করেছি। এটি শুধু মেট্রোরেল নয়, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য সরকারি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও প্রয়োগযোগ্য।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা ফিজিকাল ও অ্যানালগ পদ্ধতি থেকে ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছি। এটি জনগণের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা, যা তাদের যাতায়াতকে আরও সহজ ও নিরাপদ করবে।’

স্টাফ রিপোর্টার।।