ময়মনসিংহে কিশোর আশিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একমাত্র আসামি মো. শাহিন মিয়ার গ্রেফতারের বিষয়ে বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালিদ এর মামলার বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি বলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শিবিরুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশের বিশেষ একটি চৌকস টিম মাঠে কাজ করছিল । তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মাকসুমুল হাসান খালিদের নেতৃত্বে দলটি ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে (১৯ নভেম্বর) বিকেল ঘাগড়া ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকা থেকে শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করে।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় জানা যায় , গত (৩০ অক্টোবর) রাতে নিখোঁজ হওয়া আশিকের অর্ধগলিত মরদেহ ২ নভেম্বর সকালে ভাটি ঘাগড়া ভাটিপাড়া এলাকার শাহানারা হক নারগিসের বাউন্ডারি ভিতরের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে উঠে আসে মরদেহের কপাল, চোখের ওপরে, মাথার তালু ও কানের পাশে পাঁচটি ছিদ্রযুক্ত আঘাত ছিল যা নিষ্ঠুরতার প্রকাশ পায়
জানা যায় , নিহতের বাবা সেলিম বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত মো. শাহিন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে শাহিন মিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে আশিককে নির্মমভাবে হত্যার কথা তুলে ধরেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালিদ জানান, ঘাগড়া অঞ্চলের আশিক হত্যার পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে তা আমরা চিহ্নিত করেছি। গ্রেফতারের পর আসামি তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার বাকি দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অন্যান্য দিক যাচাইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নাজমুল হাসান।।