প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ । ৭:৫৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রামগঞ্জে ষড়যন্ত্রের শিকার ৪ সাংবাদিকের মামলা তদন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএমইউজে

৭৫ বাংলাদেশ ডেস্ক।।

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটওয়ারীর সুইসাইট করার ১৪ মাসেও কুলকিনারা হয়নি।

মামলায় ৪ সাংবাদিককে গ্রেফতার করলেও অন্য কাউকে গ্রেফতার না করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই বাবর আলী অদৃশ্য ব্যক্তির ইন্দনে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেছেন।

ঘটনার মূল আসামীদের আড়াল করতে ষড়যন্ত্রের শিকার ৪ সাংবাদিকদের উপর দোষ চাপাতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। এতে প্রকৃত ঘটনার রহস্য আড়ালে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সাথে ন্যায় বিচারের পথ রুদ্ধ হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সংগঠন বিএমইউজে ছাড়াও সাংবাদিকদের স্বজন, এলাকাবাসী ও আসামী পক্ষের আইনজীবি।

একাধিক সুত্রে জানায়, রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থিত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার ইমাম হোসেন সম্পর্কিত পৌর অবিরামপুর গ্রামের গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইত্তেফাকের রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকণ্ঠের শাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। ২৭ অক্টোবর-২০২৪ ইং বেলা ১২টার দিকে ব্যাংক অফিসে যান সংবাদের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অনুপস্থিত থাকায় এবং সেকেন্ড অফিসার মোস্তফা বিন তারেক অসুস্থ হওয়ায় সাংবাদিকরা কারো বক্তব্য নিতে না পেরে চলে আসেন।

বিকেলে ইউএনও অফিসের নির্মানাধীন ভবনের ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে সেকেন্ড অফিসার মোস্তফা মারা যাওয়ার খবর শুনে সাংবাদিকরা নিশ্চিত হতে থানায় গেলে বিকাল ৪ টার দিকে ওসি কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে ৪ সাংবাদিকে আটক করেন এবং রাত ৩টার দিকে মৃতের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রিমুকে বাদী করে মামলা রুজু করেন ওসি আবুল বাসার এবং ২৮ অক্টোবর ( আটকের ২৩ ঘন্টা পরে) লক্ষীপুর আদালতে সোর্পদ করেন। দীর্ঘ ৫৫ দিন জেল খাটার পরে লক্ষীপুর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জামিন দেন।

সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবি খাদিজাতুল কোবরা বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার রামগঞ্জ থানার এস.আই বাবর আলী দীর্ঘ ৯ মাস তদন্ত করে চার্জশীট না দিয়ে অদৃশ্য ব্যক্তির ইন্দনে মামলাটি এসপির মাধ্যমে ডিবিতে হস্তান্তর করেছেন। আইনজীবি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি না নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ওসি আবুল বাশার সাংবাদিকদের আটকের পর মামলা রুজু, ২৩ ঘন্টা পরে আদালতে পাঠায়। সাংবাদিকদের অন্যায় ভাবে এই মামলার আসামী করায় রামগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, রিপোর্টার ইউনিয়নসহ বিভিন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করলেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তদন্ত কর্মকর্তা নানা বাধার সম্মুখিন হচ্ছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিক খান সাংবাদিকদের বিষয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সংবাদের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহে যাওয়া ৪ সাংবাদিককে হয়রানি মূলক মামলার দায় হইতে অব্যাহতি দেওয়ার আহবান জানিয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁরা আরো বলেন আমরা উদ্বিগ্ন যে মুল আসামীকে আড়াল করতে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা? মামলাটি সুষ্ঠভাবে তদন্ত পুর্বক দ্রুত প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন। আইনের সঠিক প্রয়োগে বাধাদানকারী অদৃশ্য ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল, প্রধান সম্পাদকঃ শিবলী সাদিক খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ জহির রায়হান,  বার্তাকক্ষঃ 75bdnews@gmail.com

প্রিন্ট করুন