প্রকাশের সময়: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ । ২:২৫ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কেন্দুয়া কিচ্ছা উৎসব ১৪৩২ এক ঐতিহাসিক সফল সাংস্কৃতিক আয়োজন

নাজমুল হাসান।।

কেন্দুয়া ১৪৩২ গত (৮ নভেম্বর২০২৫) তারিখেকেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ-এ অনুষ্ঠিত হলো কেন্দুয়া কিচ্ছা উৎসব ১৪৩২। উৎসব ছিল এক ঐতিহাসিক আয়োজন, যেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক বয়াতী ও সাংস্কৃতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার দর্শক, যার মধ্যে বিশেষত নারীদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠানটি ছিল এক সাংস্কৃতিক মহোৎসব, যেখানে দেশর অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বয়স, ধর্ম এবং ভাষার মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন।

এ উৎসব আয়োজন করেন কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন এবং আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলো চর্চা সাহিত্য আড্ডা,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী,ঝংকার শিল্পীগোষ্ঠী,আব্দুল মজিদ তালুকদার শিল্পীগোষ্ঠী,মঙ্গলঘর পরিসর,প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ তাদের সহযোগিতায়, উৎসবটি অর্জন করেছে জাতীয় মনোযোগ।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিলো,কেন্দুয়া প্রেসক্লাব,কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাব,কেন্দুয়া উপজেলা মিডিয়া ক্লাব,উৎসবের সাফল্য স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে মানুষের আগ্রহকে আরও গভীর করেছে।

অন্য সব আয়োজন থেকে পৃথক হয়ে, কিচ্ছা উৎসবে কোনো প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথি ছিলেন না আয়োজকরা উৎসবটিকে ‘সাধারণ মানুষকে’ প্রধান করে সাজিয়েছিলেন, যেখানে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী এবং দর্শক ছিল মূল আকর্ষণ। এই নতুন ভাবনা এবং পদ্ধতি উৎসবটিকে এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে, যেখানে মানুষের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণই ছিল প্রধান।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে কিচ্ছা পরিবেশনকারী শিল্পীরা কিচ্ছা উৎসবে কিচ্ছা পরিবেশন করেন,কুদ্দুস বয়াতী,সায়িক সিদ্দিকী,দিলু বয়াতী,আশিক বয়াতী,অলিউল্লাহ বয়াতী,সবুজ বয়াতী,জসিম বয়াতী,মনসুর বয়াতী,হামিদ বয়াতী,শামীম বয়াতী,মজনু বয়াতী,উসমান বয়াতী,আনোয়ারা বয়াতী,ফজল করিম বয়াতী,খোকন বয়াতী,তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা। এছাড়া, শিল্পী, কলাকুশলী, সাজসজ্জাকারী, পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ, এবং স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎসবটি সফল করেছেন। তাদের পরিশ্রমের জন্য আয়োজকরা প্রকাশ করেছেন গভীর কৃতজ্ঞতা।

এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা নয়, বরং কিচ্ছা গান ও দেশীয় শিল্পের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জাগানো। উৎসবটি স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং শিল্পের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে।

উৎসবের আয়োজকদের বার্তা ছিল সবার প্রতি – পাখি গান গাইবেই। এটি ছিল এক প্রতিশ্রুতি, যেখানে শিল্প, সংস্কৃতি, এবং ঐতিহ্যের এই গান কখনো থামবে না। উৎসবটি শেষ হয়ে গেলেও, এটি একটি ধারাবাহিক ঐতিহ্যের সূচনা করেছে যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

সাংস্কৃতিক সুধিজনেরা মনে করছেন এই উৎসব এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য নতুন দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করেছে। এটি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করবে,এই ঐতিহাসিক উৎসবের মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলা সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্য, শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশিত হলো।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল, প্রধান সম্পাদকঃ শিবলী সাদিক খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ জহির রায়হান,  বার্তাকক্ষঃ 75bdnews@gmail.com

প্রিন্ট করুন