ময়মনসিংহে তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নে নলচাপড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনার পর বিবাদী ও তাদের স্বজনদের বসত বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছে বাদীপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকা হতে বিকেল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত সরেজমিনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসকল তথ্য।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, তারাকান্দা থানায় রুজু হওয়া হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ১০জন আসামীর বসত ঘরগুলোর বেড়াসহ ভিতরে থাকা সকল মালামাল লুটে নিয়েছে, সাথে লুটে নিয়েছে অন্তত ১২টি গরু। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে একটি পুকুরের মাছ উঠিয়ে ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করে নিয়েছ এবং অন্যান্য পুকুরের মাছগুলো করেছে হরিলুট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানিয়েছে, হত্যাকান্ডের পর কিছু অতিউৎসাহী বসন্তের কোকিলরা বাদী পক্ষের কাঁধে ভর করে আসামীদের বাড়িতে এমন বর্বর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বর্তমানে আসামিদের বাড়িগুলো যেন শ্মশানে পরিনত হয়েছে।
মামলার বাদী নিহত জামাল উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসামিদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট সবই হয়েছে, তবে আমরা করিনি। আমার বাবা জনপ্রিয় মেম্বার ছিলেন, হত্যাকান্ডের পর এলাকাবাসী ক্ষোভে এসব করেছেন।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ টিপু সুলতান এবিষয়ে বলেন, হত্যাকান্ডের পর আমরা দুইজন আসামিকে এপর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।আসামিদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে, লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি তবে পরস্পর শুনেছি তারা আদালত মামলা করবে।
উল্লেখ, রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নলচাপড়া গ্রামে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন হত্যাকন্ডে ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল উদ্দিন বানিহালা ইউনিয়নের ৮ নম্বর নলচাপড়া ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ছিলেন। এবিষয়ে তারাকান্দা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-০৬ তারিখ ০৮/১০/২০২৫ইং।