নাটোরের গুরুদাসপুরে নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ (৪৮) এর বিরুদ্ধে তার স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা নাদিরা বেগম বাদি হয়ে ফিরোজ আহমেদসহ তার দুই ভাই ফেরদৌস (৪৫) ও ফেন্সি (৪৩) কে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করেছেন।
শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।
আর ওই শিক্ষার্থী একই উপজেলার মামদপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
অপহৃত ছাত্রী ওই বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক ফিরোজের সাথে শিক্ষার্থীর পরিবারের খুবই ঘনিষ্টতা ছিল। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অতপর গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে গেলে ফিরোজ তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে রাজশাহীতে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
এরপরে ছাত্রীর অবিভাবকরা শিক্ষকের দুই ভাই ফেরদৌস ও ফেন্সিকে জানালে তারা মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এরপরে রাত দশটার দিকে তার মেয়েকে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাত ১১টার দিকে থানায় এসে অপহরণ মামলা রুজু করেন।
এবিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, শিক্ষার্থীর মা নাদিরা বেগম বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদসহ তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরন মামলা রুজু করেছেন। শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।