ডিএমপি, ঢাকার, ভাষানটেক থানা এলাকা হতে পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সানজিল মীর(২২) র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম গার্মেন্টস কর্মী। ধৃত আসামী সানজিল মীর (২২) এবং ভিকটিম পাশাপাশি বসবাস করতো। সেই সুবাদে ধৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। ভিকটিম প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে উভয়েই পাশাপাশি বসবাস করায় ভিকটিম গোসল করার সময় ধৃত আসামী ভিকটিমের আপত্তিকর ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে এবং ভিকটিমকে ভয়-ভীতি দেখায় যে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেবে। পরবর্তীতে গত ০৭ এপ্রিল ২৫ খ্রি. তারিখে ধৃত আসামী ভিকটিমের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে ভিকটিমের অগোচরে আরো বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিলে ভিকটিম টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
ধৃত আসামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ইমু) ভিডিও কল করে ছেলেদের সাথে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে টাকা উপার্জন করার জন্য বলে। এক পর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না ভিকটিম বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যায়। ভিকটিম এর পরিবার বিবাদীদের বাসায় গিয়ে অভিযোগ করলে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে গত ২১ জুলাই ২০২৫খ্রি. তারিখ উভয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে গত ২৮ জুলাই ২৫খ্রি. তারিখে ধৃত আসামী তার “S M Sanjil Mir” এবং “ময়না তেতুলিয়া” ফেইসবুক একাউন্ট থেকে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই শাহ আলম(৩৬), বাদী হয়ে নেত্রকোনা জেলার মদন থানায় একটি পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৩, তারিখ: ০৪ আগস্ট ২০২৫খ্রি. ধারা-৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৮(৪)/৮(৫)(ক) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
এরই প্রেক্ষিতে, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর একটি আভিযানিক দল সদর কোম্পানী, র্যাব-৪, মিরপুর, ঢাকা এর সহযোগীতায় ১১ আগষ্ট ২০২৫ খ্রি. অনুমান ১৮:২৫ ঘটিকায় ডিএমপি, ঢাকার ভাষানটেক থানা এলাকা হতে প্রধান আসামী সানজিল মীর(২২), জেলা-নেত্রকোনাকে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা জেলার মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।